ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১০০টি সেতু চালু হওয়ায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০০ সেতু উদ্বোধনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। সেতুগুলো নির্মাণ করে দিলাম। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, সুন্দরভাবে ব্যবহার করা আপনাদের নিজ নিজ দায়িত্ব। সেতুগুলো নির্মাণের ফলে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটবে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত শত সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথি হিসেবে সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন ও বিপণন দ্রুত এবং সহজ হবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এগুলো ৩৩টি রুটে ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৪ বছরে আমরা বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ এবং ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ করেছি।

তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণকাজ সমাপ্তকরণসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়, যা মহাসড়ক নেটওয়ার্ককে নিরবচ্ছিন্ন করে তোলে। তার সরকার ’৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসেই সে সময়ে ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২১ রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করা। একই সাথে শত সেতু নির্মাণ করা এবং তার উদ্বোধন করা আশ্চর্যের বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল ফোনও ছিল না, মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, আমরা সেটাও তৈরি করে দিয়েছি। আমরা আজ একই সাথে সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ করে এই সেতু উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করে দিয়েছি। এখন কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকা এ ১৪ বছরে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু পুনঃনির্মাণ ও ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট করেছি। মহাসড়কগুলো আরও উন্নত করে দিচ্ছি যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়। আজকের শত সেতু খুবই আশ্চর্য বিষয়, একই সঙ্গে শত সেতু নির্মাণ করা এবং সেগুলোর উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সমগ্র বাংলাদেশে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি, আমি যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাস এবং ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে সেখানে আপনাদের সবাইকে একটু সতর্ক হতে হবে। সাশ্রয়ী হতে হবে এবং মৃতব্যয়ী হতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। তেল-গ্যাস পানি বিদ্যুৎতের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আর আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় যেখানে খালি জমি আছে সেখানে যত বেশি পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। ফল, তরি-তরকারি যেটাই পারেন উৎপাদন করবেন। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ভেড়া যা কিছু পান সেগুলো পালন করতে হবে অর্থাৎ নিজেদের উপার্জন নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে।

ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক থাকার নিদের্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, নিশ্চয়ই নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। মশারি টানিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা অথবা কোথাও যেন পানি না থাকে। মশার প্রজনন জায়গাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যা করার আমরা তা করব। আপনাদের পাশে আমরা আছি। সারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের কাজ করে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ, তাই সারাবিশ্বে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে অভিঘাতটা বাংলাদেশেও আসে। সব জায়গায় দাম বেড়ে যাওয়াতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের খুবই সাশ্রয়ী হতে হবে। কোনো অপচয় করা যাবে না। আন্তর্জাতিকভাবে আজকে যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেই সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেন মুক্ত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। প্রত্যেকটি পরিবার তাদের নিজেদের জন্য সেই চেষ্টা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আছি আপনাদের পাশে, সারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ ঘোষণা দিয়েছি, এ ৪১ এ আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না, সেই নীতিতে আমরা অটল রয়েছি।

এসময় গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সুনামগঞ্জ, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রান্ত যুক্ত ছিল।

সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি সেতু রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

১০০টি সেতু চালু হওয়ায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০০ সেতু উদ্বোধনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। সেতুগুলো নির্মাণ করে দিলাম। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, সুন্দরভাবে ব্যবহার করা আপনাদের নিজ নিজ দায়িত্ব। সেতুগুলো নির্মাণের ফলে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটবে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত শত সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথি হিসেবে সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন ও বিপণন দ্রুত এবং সহজ হবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এগুলো ৩৩টি রুটে ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৪ বছরে আমরা বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ এবং ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ করেছি।

তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণকাজ সমাপ্তকরণসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়, যা মহাসড়ক নেটওয়ার্ককে নিরবচ্ছিন্ন করে তোলে। তার সরকার ’৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসেই সে সময়ে ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২১ রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করা। একই সাথে শত সেতু নির্মাণ করা এবং তার উদ্বোধন করা আশ্চর্যের বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল ফোনও ছিল না, মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, আমরা সেটাও তৈরি করে দিয়েছি। আমরা আজ একই সাথে সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ করে এই সেতু উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করে দিয়েছি। এখন কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকা এ ১৪ বছরে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু পুনঃনির্মাণ ও ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট করেছি। মহাসড়কগুলো আরও উন্নত করে দিচ্ছি যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়। আজকের শত সেতু খুবই আশ্চর্য বিষয়, একই সঙ্গে শত সেতু নির্মাণ করা এবং সেগুলোর উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সমগ্র বাংলাদেশে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি, আমি যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাস এবং ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে সেখানে আপনাদের সবাইকে একটু সতর্ক হতে হবে। সাশ্রয়ী হতে হবে এবং মৃতব্যয়ী হতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। তেল-গ্যাস পানি বিদ্যুৎতের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আর আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় যেখানে খালি জমি আছে সেখানে যত বেশি পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। ফল, তরি-তরকারি যেটাই পারেন উৎপাদন করবেন। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ভেড়া যা কিছু পান সেগুলো পালন করতে হবে অর্থাৎ নিজেদের উপার্জন নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে।

ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক থাকার নিদের্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, নিশ্চয়ই নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। মশারি টানিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা অথবা কোথাও যেন পানি না থাকে। মশার প্রজনন জায়গাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যা করার আমরা তা করব। আপনাদের পাশে আমরা আছি। সারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের কাজ করে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ, তাই সারাবিশ্বে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে অভিঘাতটা বাংলাদেশেও আসে। সব জায়গায় দাম বেড়ে যাওয়াতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের খুবই সাশ্রয়ী হতে হবে। কোনো অপচয় করা যাবে না। আন্তর্জাতিকভাবে আজকে যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেই সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেন মুক্ত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। প্রত্যেকটি পরিবার তাদের নিজেদের জন্য সেই চেষ্টা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আছি আপনাদের পাশে, সারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ ঘোষণা দিয়েছি, এ ৪১ এ আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না, সেই নীতিতে আমরা অটল রয়েছি।

এসময় গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সুনামগঞ্জ, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রান্ত যুক্ত ছিল।

সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি সেতু রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।