ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। কেউ শ্রমিকদের বঞ্চিত করলে ছাড় দেয়া হবে না। বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কারও উস্কানিতে কলকারখানা ধংস না করতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার মে দিবসের প্রতিপাদ্য- শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করা দায়িত্ব মনে করে। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া আইন যুগোপযোগী করাসহ তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

শ্রমিকদের দিকে নজর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে কারো উস্কানিতে নিজের রুটি রুজির জায়গা নষ্ট না করার আহবানও জানান শ্রমিকদের প্রতি।

তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশী পণ্যের বিদেশি ক্রেতাদের মূল্য বাড়িয়ে দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ যদি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে সে যেই হোক না কেন, যত বড়ই হোক না কেন, যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি হলেও আমরা ছাড়ি না, ছাড়বো না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে, তাদের ভালো মন্দ দেখতে হবে।”

শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে এবং সহজলভ্য করতে ট্যাক্স তুলে দিয়েছি। যাতে শিল্প কারখানা নিরাপদ হয়। আজ সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা ১০টি গ্রিন শিল্প কারখানা বাংলাদেশে।”

শ্রমিকদের দুঃসময়ে সরকার সবসময় পাশে থেকেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ এমন কিছু নেই যাতে আগুন দেয় নাই। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। বিনাখরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।”

রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সেবা দিতে কেন্দ্রীয় কল্যাণ গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় শ্রমনীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”

করোনার পর রাশিয়ায়-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সম্প্রতি ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডে সারা বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান যাতে ভালো থাকে সেজন্য সবার বেতন আমরা পাঁচ ভাগ বাড়িয়েছি। সেখানে শ্রমজীবী মানুষের জন্য আমরা এই হার ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করেছে। শুধু গার্মেন্ট শিল্প কারখানা নয় ৪২টি সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।”

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেছে সরকার’

আপডেট সময় : ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। কেউ শ্রমিকদের বঞ্চিত করলে ছাড় দেয়া হবে না। বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কারও উস্কানিতে কলকারখানা ধংস না করতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার মে দিবসের প্রতিপাদ্য- শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করা দায়িত্ব মনে করে। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া আইন যুগোপযোগী করাসহ তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

শ্রমিকদের দিকে নজর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে কারো উস্কানিতে নিজের রুটি রুজির জায়গা নষ্ট না করার আহবানও জানান শ্রমিকদের প্রতি।

তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশী পণ্যের বিদেশি ক্রেতাদের মূল্য বাড়িয়ে দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ যদি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে সে যেই হোক না কেন, যত বড়ই হোক না কেন, যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি হলেও আমরা ছাড়ি না, ছাড়বো না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে, তাদের ভালো মন্দ দেখতে হবে।”

শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে এবং সহজলভ্য করতে ট্যাক্স তুলে দিয়েছি। যাতে শিল্প কারখানা নিরাপদ হয়। আজ সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা ১০টি গ্রিন শিল্প কারখানা বাংলাদেশে।”

শ্রমিকদের দুঃসময়ে সরকার সবসময় পাশে থেকেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ এমন কিছু নেই যাতে আগুন দেয় নাই। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। বিনাখরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।”

রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সেবা দিতে কেন্দ্রীয় কল্যাণ গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় শ্রমনীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”

করোনার পর রাশিয়ায়-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সম্প্রতি ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডে সারা বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান যাতে ভালো থাকে সেজন্য সবার বেতন আমরা পাঁচ ভাগ বাড়িয়েছি। সেখানে শ্রমজীবী মানুষের জন্য আমরা এই হার ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করেছে। শুধু গার্মেন্ট শিল্প কারখানা নয় ৪২টি সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।”

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।