ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে এসি নষ্ট, তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা

বেনাপোল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তীব্র গরমে আন্তর্জাতিক বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমস দিয়ে ভোগান্তি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। আগমন এবং বহির্গমন পাশে দেওয়ালের সাথে লাইন ধরে লাগানো আছে কয়েকটি এসি। ঠিক নেই তার একটিও। গত দুই সপ্তাহের তীব্র গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

বুধবার (০১ মে ) সকালে সরেজমিনে ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে দেওয়ালের সাথে লাইন দিয়ে লাগানো আছে কয়েকটি এসি। তার একটি ও কাজ করে না দীর্ঘদিন ধরে। পাসপোর্টধারী পর্যটকরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছে। সেবা পাচ্ছে না কানা কড়িও। বেশি কস্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে।

সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে তারা ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে কেউ বা যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী পর্যটকদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে। লাইনে সাজানো আছে এসি কিন্ত তার একটিও চলে না। ঘেমে ভিজে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

ফরিদপুর থেকে ভারত ভ্রমণে আসা আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েকঘন্টা ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানে ও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানে ও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেওয়ালে এসি সাটানো থাকলে কিন্তু এর একটি ও কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে সেবাটা কি পাচ্ছি?

ঢাকার যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরিভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভিতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। এখানে এসি থাকলে ও চলে না এগুলো। কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আযহারুল ইসলাম জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে লাগানো সবগুলো এসিই নষ্ট। আমি যোগদানের পর থেকে দেখে আসছি এগুলো অকেজো। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী পর্যটকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এসিগুলো মেরামত করা জরুরি।

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে এসি নষ্ট, তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা

আপডেট সময় : ০৭:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

তীব্র গরমে আন্তর্জাতিক বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমস দিয়ে ভোগান্তি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। আগমন এবং বহির্গমন পাশে দেওয়ালের সাথে লাইন ধরে লাগানো আছে কয়েকটি এসি। ঠিক নেই তার একটিও। গত দুই সপ্তাহের তীব্র গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

বুধবার (০১ মে ) সকালে সরেজমিনে ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে দেওয়ালের সাথে লাইন দিয়ে লাগানো আছে কয়েকটি এসি। তার একটি ও কাজ করে না দীর্ঘদিন ধরে। পাসপোর্টধারী পর্যটকরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছে। সেবা পাচ্ছে না কানা কড়িও। বেশি কস্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে।

সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে তারা ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে কেউ বা যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী পর্যটকদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে। লাইনে সাজানো আছে এসি কিন্ত তার একটিও চলে না। ঘেমে ভিজে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

ফরিদপুর থেকে ভারত ভ্রমণে আসা আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েকঘন্টা ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানে ও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানে ও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেওয়ালে এসি সাটানো থাকলে কিন্তু এর একটি ও কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে সেবাটা কি পাচ্ছি?

ঢাকার যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরিভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভিতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। এখানে এসি থাকলে ও চলে না এগুলো। কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আযহারুল ইসলাম জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে লাগানো সবগুলো এসিই নষ্ট। আমি যোগদানের পর থেকে দেখে আসছি এগুলো অকেজো। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী পর্যটকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এসিগুলো মেরামত করা জরুরি।

বাখ//আর