ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে, আমন মৌসুম থেকে কার্যকর : খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাইয় ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আমন মৌসুম থেকে কার্যকর করা হবে।
বৃহষ্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁয় সার্কিট হাউজে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত চাল ছাঁটাইয় ও পলিশের কারণে ১৬ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এই আইন হলে সেখান থেকেও আমরা রক্ষা পাবো। আর এতে করে উৎপাদন খরচ কমে ভোক্তারা কম দামে চাল ক্রয় করতে পারবেন।
বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্য কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উৎপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবেনা।
চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলাও উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগেই দেওয়া হয়েছে। তা না মানলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধানের সংগ্রহ সফল হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসকল কারনে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে।
বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
এরআগে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক , আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জহিরুল ইসলাম খান, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদারসহ অন্যান্যরা।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে, আমন মৌসুম থেকে কার্যকর : খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাইয় ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আমন মৌসুম থেকে কার্যকর করা হবে।
বৃহষ্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁয় সার্কিট হাউজে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত চাল ছাঁটাইয় ও পলিশের কারণে ১৬ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এই আইন হলে সেখান থেকেও আমরা রক্ষা পাবো। আর এতে করে উৎপাদন খরচ কমে ভোক্তারা কম দামে চাল ক্রয় করতে পারবেন।
বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্য কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উৎপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবেনা।
চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলাও উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগেই দেওয়া হয়েছে। তা না মানলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধানের সংগ্রহ সফল হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসকল কারনে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে।
বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
এরআগে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক , আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জহিরুল ইসলাম খান, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদারসহ অন্যান্যরা।
বাখ//আর