ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমাকে উৎখাত করে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করে অতিবাম-অতিডানরা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়, জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রী ঘুরে। আমার মনে একটি প্রশ্ন সবসময়, প্রশ্নটা আমরা করতে চাই। আমরা মনে করি, অতি বাম যারা তারা প্রগ্রেসিভ একটি দল, গণমুখী দল ইত্যাদি ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে, পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে? সেটা কী ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই তো আমার প্রশ্ন- কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়? সেটা কিন্তু স্পষ্ট না। সেটা স্পষ্ট না বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন: আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে বিদেশে বসে প্রতিদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে। নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে, সেখানেও তো প্রশ্ন আছে। যারা আন্দোলন করে করুক, সেটাতে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, যাতে নির্বাচনটা না হয়। আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির ওপর আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি এবং আমি এটাও বলতে চাই, জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং সেটা প্রমাণিত সত্য। এ কারণে যত বাধা আসুক আমরা সেটা উতরে যেতে পারি। যত চক্রান্ত হোক সেটাকে পাশ কাটিয়ে আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে বিজয় নিয়ে আসি। সেটা স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে নির্বাচন সবকিছুই, সেটা প্রমাণিত।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন দমনে মার্কিন পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন: অবশ্য আমাদের মনে হয় নতুন পথ নেওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আমরা যদি এখন পুলিশকে বলে দেই, আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমন করতে। আমেরিকা পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা অনুসরণ করতে। আমার মনে হয়, আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

এসময় তিনি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন: আমি তো ধৈর্য্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য্য ধরতে গিয়ে তাদেরকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই সাথে হাসপাতালে আক্রমণ, গাড়ি পোড়ানো। কাজেই এখন আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশের স্টাইলে আন্দোলন দমনে ব্যবস্থাটা নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপরে থ্যাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি তিনি আরও গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের এই বিষয়টা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বর্তমানে যে অবস্থাটা চলছে, সেটা নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। তারপরও প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলবে বলেই তারা আশ্বস্ত করেছেন। তার সাথে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনা হয়েছে।’

থাইল্যান্ড সফরের অর্জন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ড চাইলে আমাদের দীর্ঘ ৮০ মাইল সমুদ্র সৈকতে জায়গা দেবো। কারণ থাইল্যান্ড পর্যটনের দিক থেকে অনেক অগ্রগামী। সে অভিজ্ঞতাটাও আমরা নিতে পারি। এজন্য তারা আমাদের বালুময় সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জায়গা দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গভর্নমেন্ট হাউসে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর) দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল— বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাকে উৎখাত করে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করে অতিবাম-অতিডানরা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়, জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রী ঘুরে। আমার মনে একটি প্রশ্ন সবসময়, প্রশ্নটা আমরা করতে চাই। আমরা মনে করি, অতি বাম যারা তারা প্রগ্রেসিভ একটি দল, গণমুখী দল ইত্যাদি ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে, পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে? সেটা কী ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই তো আমার প্রশ্ন- কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়? সেটা কিন্তু স্পষ্ট না। সেটা স্পষ্ট না বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন: আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে বিদেশে বসে প্রতিদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে। নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে, সেখানেও তো প্রশ্ন আছে। যারা আন্দোলন করে করুক, সেটাতে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, যাতে নির্বাচনটা না হয়। আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির ওপর আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি এবং আমি এটাও বলতে চাই, জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং সেটা প্রমাণিত সত্য। এ কারণে যত বাধা আসুক আমরা সেটা উতরে যেতে পারি। যত চক্রান্ত হোক সেটাকে পাশ কাটিয়ে আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে বিজয় নিয়ে আসি। সেটা স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে নির্বাচন সবকিছুই, সেটা প্রমাণিত।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলন দমনে মার্কিন পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন: অবশ্য আমাদের মনে হয় নতুন পথ নেওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আমরা যদি এখন পুলিশকে বলে দেই, আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমন করতে। আমেরিকা পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা অনুসরণ করতে। আমার মনে হয়, আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

এসময় তিনি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন: আমি তো ধৈর্য্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য্য ধরতে গিয়ে তাদেরকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই সাথে হাসপাতালে আক্রমণ, গাড়ি পোড়ানো। কাজেই এখন আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশের স্টাইলে আন্দোলন দমনে ব্যবস্থাটা নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপরে থ্যাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি তিনি আরও গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের এই বিষয়টা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বর্তমানে যে অবস্থাটা চলছে, সেটা নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। তারপরও প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলবে বলেই তারা আশ্বস্ত করেছেন। তার সাথে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনা হয়েছে।’

থাইল্যান্ড সফরের অর্জন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ড চাইলে আমাদের দীর্ঘ ৮০ মাইল সমুদ্র সৈকতে জায়গা দেবো। কারণ থাইল্যান্ড পর্যটনের দিক থেকে অনেক অগ্রগামী। সে অভিজ্ঞতাটাও আমরা নিতে পারি। এজন্য তারা আমাদের বালুময় সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জায়গা দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গভর্নমেন্ট হাউসে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর) দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল— বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি।’