ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!

মোঃ আল আমিন হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বায়রা গ্রামের দিনমজুর জোমাত আলী ফকির। স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসবাস করতেন যমুনার দূর্গম চর বৃহাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে। এলাকায় ঘোল বিক্রি এবং দিনমজুরি করে চালাতেন জীবিকা। আর সেই জীবিকার তাগিদে দিনমজুরি করতে গিয়ে শরিরে অসংখ্য আঘাত নিয়ে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন অত্যন্ত সহজ সরল জোমাত আলী ফকির (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জোমাত আলী মারা গেছে বলে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ যমুনা নদীর তীরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা রাতে জোমাত আলীর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থা দেখে কবর না দিয়ে পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেয়।

বুধবার (১ মে) সরেজমিনে গেলে নিহত দিনমজুর জোমাত আলীর বৃদ্ধ মা কমেলা খাতুন, ভাই আশরাফ ফকির এবং আজাদ ফকির জানান, জোমাত আলী কিছুটা পাগলাটে স্বভাবের সহজ-সরল এবং কৃপণ প্রকৃতির ছিলেন। ৭-৮ বছর আগে জোমাতের স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে থাকতেন। ঘোল বিক্রি এবং দিনমজুরি করে যা আয় হতো তা কারো কাছে না রেখে নিজের কোমড়ে বাঁধা তফিলে (থলে) রাখতেন। সেই টাকার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

তারা আরও জানান, গত শনিবার বৃহাতকোড়া গ্রামের প্রতিবেশী হানিফ এবং সাহেব আলী দূরে কোথাও দিনমজুরির জন্য ডেকে নিয়ে যায় জামাত আলীকে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অচেনা নাম্বার থেকে জোমাতের বাড়িতে ফোন দিয়ে জানানো হয় তিনি মারা গেছেন। পরে তারা নদীর ঘাটে গিয়ে জোমাত আলীর লাশ পেলেও সেখানে কাউকে খুঁজে পাননি। পরিবারের লোকজনের দাবী প্রতিবেশী হানিফ এবং সাহেব আলীই জোমাত আলীর তিল তিল করে জমানো টাকা লুট করতে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই বৃহাতকোড়া গ্রামের হানিফ এবং সাহেব আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের ফোন বন্ধ বলে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ খায়রুল বাশার জানান, থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তাদের অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বায়রা গ্রামের দিনমজুর জোমাত আলী ফকির। স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসবাস করতেন যমুনার দূর্গম চর বৃহাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে। এলাকায় ঘোল বিক্রি এবং দিনমজুরি করে চালাতেন জীবিকা। আর সেই জীবিকার তাগিদে দিনমজুরি করতে গিয়ে শরিরে অসংখ্য আঘাত নিয়ে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন অত্যন্ত সহজ সরল জোমাত আলী ফকির (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জোমাত আলী মারা গেছে বলে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ যমুনা নদীর তীরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা রাতে জোমাত আলীর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থা দেখে কবর না দিয়ে পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেয়।

বুধবার (১ মে) সরেজমিনে গেলে নিহত দিনমজুর জোমাত আলীর বৃদ্ধ মা কমেলা খাতুন, ভাই আশরাফ ফকির এবং আজাদ ফকির জানান, জোমাত আলী কিছুটা পাগলাটে স্বভাবের সহজ-সরল এবং কৃপণ প্রকৃতির ছিলেন। ৭-৮ বছর আগে জোমাতের স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে থাকতেন। ঘোল বিক্রি এবং দিনমজুরি করে যা আয় হতো তা কারো কাছে না রেখে নিজের কোমড়ে বাঁধা তফিলে (থলে) রাখতেন। সেই টাকার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

তারা আরও জানান, গত শনিবার বৃহাতকোড়া গ্রামের প্রতিবেশী হানিফ এবং সাহেব আলী দূরে কোথাও দিনমজুরির জন্য ডেকে নিয়ে যায় জামাত আলীকে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অচেনা নাম্বার থেকে জোমাতের বাড়িতে ফোন দিয়ে জানানো হয় তিনি মারা গেছেন। পরে তারা নদীর ঘাটে গিয়ে জোমাত আলীর লাশ পেলেও সেখানে কাউকে খুঁজে পাননি। পরিবারের লোকজনের দাবী প্রতিবেশী হানিফ এবং সাহেব আলীই জোমাত আলীর তিল তিল করে জমানো টাকা লুট করতে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই বৃহাতকোড়া গ্রামের হানিফ এবং সাহেব আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের ফোন বন্ধ বলে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ খায়রুল বাশার জানান, থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তাদের অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

বাখ//আর