স্পোর্টস ডেস্ক : 

জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করল ঢাকা ডমিনেটর্স। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেছেন নাসির হোসেন। বল হাতে ২ উইকেট এবং ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৬ রান। ঘরের মাঠে নাসির হোসেনের প্রত্যাবর্তনটা দেখার মতোই ছিল। ব্যাট ও বল হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তারুণ্যনির্ভর ঢাকা ডমিনেটর্সকে প্রথম ম্যাচেই জয় দিয়েছেন অধিনায়ক। এবারের বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাসির হোসেনের দল। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে নাসিরের হাতে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনাকে ব্যাটিং ও বোলিং কোনো ডিপার্টমেন্টেই সুযোগ দেয়নি নাসির হোসেনদের তরুণ ঢাকা দল। টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে খুলনাকে ১১৩ রানেই আটকে দেন ঢাকার বোলাররা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। আহমেদ শেহজাদ হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ৪ করে। এরপর ৪৭ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও দিলশান মুনারাবিরা। এর মাঝে একবার ব্যক্তিগত ৫ রানে এলবিডাব্লিউ থেকে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেলেও সৌম্য ১৩ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। মুনারাবিরা ২৮ বলে করেন ২২। মোহাম্মদ মিঠুন ১৪ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়ে যান। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঢাকার হাল ধরেন অধিনায়ক নাসির ও উসমান গনি।

এ জুটিতেই জয়ের দিকে এগোতে থাকে ঢাকা। এরপর নাসির হোসেন আর উসমান গনি ধরে খেলে দলকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৩৩ রানের জুটি ভাঙে উসমান গনির (১৪) বিদায়ে। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৯ রানের। ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাসির। ৫ বল হাতে রেখেই জিতে যায় ঢাকা।

খুলনার হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট। এছাড়া ওয়াহাব রিয়াজ এবং পল ভ্যান ম্যাকরেন নেন ১ টি করে উইকেট।

আগে ব্যাটিং করে ঢাকার বোলারদের সামনে পাত্তাই পায়নি খুলনার ব্যাটাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ইয়াসির রাব্বি। এছাড়া ঢাকার হয়ে পেসার আল আমিন হোসেন নেন ৪ উইকেট। এদিন ঢাকার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে শুরুতে ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। এদিন অবশ্য রান পাননি তামিম ইকবাল, করেছেন মোটে ৮ রান।

পরবর্তীতে আজম খান এবং ইয়াসির রাব্বি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিদূর আগাতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১৮ রান করে আজম ফেরার পর ২৪ রানে ফেরেন রাব্বিও। শেষ দিকে সাইফউদ্দিন করেন ১৯ রান। এছাড়া সাব্বির রহমান করেন ১১* রান।

শেষ ওভারে ওহাব রিয়াজের ক্যামিওতেই শতরানের বেশি পুঁজি পায় খুলনা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা সংগ্রহ করে ১১৩ রান।