পাকুন্দিয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান
- আপডেট সময় : ১০:৪১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র শরীফ খানকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত একটার দিকে উপজেলার নারান্দি ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি কনসার্টে ওই ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নিহতের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় নারান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোছলেহ উদ্দীনকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হওয়া চার যুবককে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া যুবকরা হলেন, উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে মো. রাজন মিয়া, মৃত সাইদুল হকের ছেলে সোহেল মিয়া, আব্দুল আজিজের ছেলে মাহমুদুল হাসান ও মৃত নুরুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন শাহিন। তাদের আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামে এক কনসার্টের আয়োজন করে এলাকাবাসী। শরীফ তার দুই সঙ্গী রিটন ও আজাদকে নিয়ে ওই কনসার্টে যান। রাত একটার দিকে শিল্পীদের গানের তালে তালে দর্শকরাও মঞ্চের সামনে নাচতে শুরু করে।
এ সময় কনসার্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সজিব হাসান শরীফকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় ওই এলাকার কিছু সন্ত্রাসী লাঠি, লোহার রড ও ছুরি নিয়ে দর্শকদের ওপর হামলা চালায়। এতে শরীফ, রিটন ও আজাদসহ বেশ কয়েকজন আহত হোন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান। রিটন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আজাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জানতে নারান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোছলেহ উদ্দীনের মুঠোফোনে কল করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, নিহতের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলা নিয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।