শরীয়তপুরের ডামুড্যায় তীব্র গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লীরা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করেছেন তারা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টার সময় ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের শরীয়াতিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিস্কার নামাজের আদায় করা হয়।

নামাজের ইমামতি করেন শরীয়াতিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা রমজান বিন শফিক। মোনাজাতে গরমের কারণে কৃষকের ফসল ও মানুষের জীবন যেন বিপন্ন না হয়, সেজন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন মুসল্লীরা।

ইস্তিস্কার নামাজ পড়তে আসা কবির হোসেন হাওলাদার, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন নামে মুসল্লী  বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে সকলকে মুক্তি দিবেন ইনশাআল্লাহ।

ইস্তিস্কার নামাজের ইমাম শরীয়াতিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক  হাফেজ মাওলানা রমজান বিন শফিক বলেন, অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এখন একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা সবাই নিরুপায়। তাপপ্রবাহের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় মুসল্লীদের নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে রাসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি, তিনি যেন আমাদের পাপ মার্জনা করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে জনজীবনে প্রশান্তি ফিরিয়ে দেন।

পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষসহ কৃষি ফসলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে বৃষ্টির প্রার্থনা করেছি।

বাখ//আর