ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র নেতা মাজহারুল ইসলামকে বহিষ্কার

// কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি //
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে মাজহারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন জনকে বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।

তবে মাজহারুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। ক্ষুদ্ধ পতিক্রিয়া জানিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ পেইজবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাক্ত করছেন তাদের মতামত।

বিএনরি নেতা সাইফুল ইসলাম তার পেইজবুক ওয়ালে লিখেছেন, দলীয় কার্যালয়ে এসি রুমে বসে কয়েক সেকেন্ডের একটা সাইনে শত শত নেতাকর্মী বহিষ্কার করা যায়। কিন্তু ত্যাগী আর পরিশ্রমি নেতাকর্মী তৈরী করা যায় না। ইসমাইল হোসেন লিখেছেন, যে ব্যক্তি দলের কোন পদই বহন করেন না তাকে আবার বহিষ্কার করে কি করে। নুর মোহাম্মদ লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম ছুপু নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীদের জন্য বটবৃক্ষ। ব্যক্তি মজহারকে আগে জানুন বুঝুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। শাহ আজিজ ভূইয়া লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম ছুপুকে বহিষ্কার করে বিএনপি আরেকটি ভূল করল। এতে বিএনপির ক্ষতিটাই বেশী হবে। বিগত ১৭ বছর ছুপু দলেন নেতাকর্মীদের জন্য নিঃস্বার্থে যা করেছেন, বিএনপির সাবেক একজন মন্ত্রী এমপিও তা করতে পারেনি। ব্যক্তি মাজহারের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাবে। বশির পাটোয়ারী লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম একটি ব্র্যান্ড। যার জনপ্রিয়তায় শাসক গোষ্টির পাশাপাশি নিজ দলের কিছু লোকের অন্তরে জ্বালা পোড়া লেগে গেছে।

বিএনপি নেতা এস এম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার জানা মতে ছুপুর কোন পদ পদবি নাই। তাই তাকে বহিষ্কার করা নিয়ম বহিভূত। তাকে শোকজ করতে পারতো, জবাব দিহিতার আওতায় আনতে পারতো। দল কি শুধু বহিষ্কারের জন্য’ ?

বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা ও নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ছুপু বলেন, ‘ছাত্র জীবন থেকে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে শ্রম-ঘাম ও অর্থ ব্যায় করে আসছি। দলেন সাধারণ নেতাকর্মী সমর্থক এবং সর্বসাধারণের অনুরোধের প্রেক্ষীতে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও দলের হয়ে জনসাধারণের কল্যানে কাজ করে যাব’। মাজহারুল ইসলাম ছুপু আসছে ৮ মে অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য সকল ভোটরদের প্রতি আহবান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র নেতা মাজহারুল ইসলামকে বহিষ্কার

আপডেট সময় : ১১:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে মাজহারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন জনকে বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।

তবে মাজহারুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। ক্ষুদ্ধ পতিক্রিয়া জানিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ পেইজবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাক্ত করছেন তাদের মতামত।

বিএনরি নেতা সাইফুল ইসলাম তার পেইজবুক ওয়ালে লিখেছেন, দলীয় কার্যালয়ে এসি রুমে বসে কয়েক সেকেন্ডের একটা সাইনে শত শত নেতাকর্মী বহিষ্কার করা যায়। কিন্তু ত্যাগী আর পরিশ্রমি নেতাকর্মী তৈরী করা যায় না। ইসমাইল হোসেন লিখেছেন, যে ব্যক্তি দলের কোন পদই বহন করেন না তাকে আবার বহিষ্কার করে কি করে। নুর মোহাম্মদ লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম ছুপু নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীদের জন্য বটবৃক্ষ। ব্যক্তি মজহারকে আগে জানুন বুঝুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। শাহ আজিজ ভূইয়া লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম ছুপুকে বহিষ্কার করে বিএনপি আরেকটি ভূল করল। এতে বিএনপির ক্ষতিটাই বেশী হবে। বিগত ১৭ বছর ছুপু দলেন নেতাকর্মীদের জন্য নিঃস্বার্থে যা করেছেন, বিএনপির সাবেক একজন মন্ত্রী এমপিও তা করতে পারেনি। ব্যক্তি মাজহারের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাবে। বশির পাটোয়ারী লিখেছেন, মাজহারুল ইসলাম একটি ব্র্যান্ড। যার জনপ্রিয়তায় শাসক গোষ্টির পাশাপাশি নিজ দলের কিছু লোকের অন্তরে জ্বালা পোড়া লেগে গেছে।

বিএনপি নেতা এস এম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার জানা মতে ছুপুর কোন পদ পদবি নাই। তাই তাকে বহিষ্কার করা নিয়ম বহিভূত। তাকে শোকজ করতে পারতো, জবাব দিহিতার আওতায় আনতে পারতো। দল কি শুধু বহিষ্কারের জন্য’ ?

বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা ও নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ছুপু বলেন, ‘ছাত্র জীবন থেকে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে শ্রম-ঘাম ও অর্থ ব্যায় করে আসছি। দলেন সাধারণ নেতাকর্মী সমর্থক এবং সর্বসাধারণের অনুরোধের প্রেক্ষীতে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও দলের হয়ে জনসাধারণের কল্যানে কাজ করে যাব’। মাজহারুল ইসলাম ছুপু আসছে ৮ মে অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য সকল ভোটরদের প্রতি আহবান জানান।