ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিল জ্বালানি বিভাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভর্তুকি সমন্বয় ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো (সমন্বয়) হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে এক ব্যাখ্যায় জ্বালানি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে দুপুরে শিল্প ও বাণিজ্য শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি বিভাগ। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৪ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ৩০ টাকা এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণি যথা গৃহস্থালি, সিএনজি, চা-শিল্প (চা-বাগান) ও সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আবাসিকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। গ্যাসের সমন্বিত নতুন মূল্যহার বিল মাস ফেব্রুয়ারি ২০২৩ হতে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক বিশেষ জ্বলানি পরিস্থিতিতে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয় যেমন বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ ও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যায়। এতে করে এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ প্রদান করতে হচ্ছিল। সে কারণে গত বছরের জুলাই মাস থেকে স্পট মার্কেট হতে এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান উৎপাদন/সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।

চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও রপ্তানিমুখী বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে করণীয় সম্পর্কে সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়। যেহেতু স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানিপূর্বক উক্ত বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে, সে কারণে সরকার বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিল জ্বালানি বিভাগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভর্তুকি সমন্বয় ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো (সমন্বয়) হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে এক ব্যাখ্যায় জ্বালানি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে দুপুরে শিল্প ও বাণিজ্য শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি বিভাগ। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৪ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ৩০ টাকা এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণি যথা গৃহস্থালি, সিএনজি, চা-শিল্প (চা-বাগান) ও সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আবাসিকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। গ্যাসের সমন্বিত নতুন মূল্যহার বিল মাস ফেব্রুয়ারি ২০২৩ হতে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক বিশেষ জ্বলানি পরিস্থিতিতে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয় যেমন বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ ও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যায়। এতে করে এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ প্রদান করতে হচ্ছিল। সে কারণে গত বছরের জুলাই মাস থেকে স্পট মার্কেট হতে এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান উৎপাদন/সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।

চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও রপ্তানিমুখী বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে করণীয় সম্পর্কে সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়। যেহেতু স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানিপূর্বক উক্ত বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে, সে কারণে সরকার বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।