ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইইউতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪১.৭৬ শতাংশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ইইউতে পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

তথ্য অনুসারে, আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব বাজার থেকে ৮৬.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৯.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। আগের বছর একই সময়ে বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করেছিল ৬৯.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছিল ১৩.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক। সে হিসেবে, আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে বিশ্ব বাজার থেকে ২৪.৪১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে ৪১.৭৬ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েছে। পোশাক আমদানিতে ইইউ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসের স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে, চীন ২৯.৩৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম দশ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ২২.৪৩ শতাংশ। এ সময় চীন থেকে ২৫.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। আলোচ্য সময় তুরস্ক থেকে আমদানি ১২.৮২ শতাংশ বাড়িযেছে, যার ফলে এ সময় তুরস্ক ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে।

আলোচ্য সময়ে ইইউ ভারত থেকে আমদানি বাড়িয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ। এ সময় ভারত থেকে ইইউ পোশাক আমদানি করেছে ৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে আমদানি করেছিল ৩.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক।

ইইউতে অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া ৩৯.৬৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৩৩.০৫ শতাংশ, পাকিস্তান ২৮.৫৫, মরক্কো ৯.৫৯, শ্রীলঙ্কা ১৮ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১.৭৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা ইউরোপে অনেক বেশি। সেজন্য অন্যান্য দেশের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি আমাদের অনেক কম। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্টোবর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি বাড়লেও পরবর্তীতে ইউরোপের আমদানি সব দেশ থেকেই কমেছে। এর অন্যতম কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি দিকে ইউরোপের আমদানি কমায় সব দেশেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এই সময়ও আমরা অন্যদের চেয়ে ভালো করবো বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা এসব কিছুর প্রভাব পড়াতেই কিন্তু এটি হচ্ছে। আর, প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণ হচ্ছে আমাদের পোশাকের ইউনিট ভ্যালু বেড়েছে। নতুন-নতুন পোশাক রপ্তানি হচ্ছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসবের কারণেও কিন্তু প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু, আক্ষরিক অর্থে আমরা নেতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যেটা আমরা ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসের ডাটা পেলেই দেখতে পারব। কিন্তু অন্যদের থেকে আমাদের অবকাঠামো ভালো থাকার কারণে হয়ত আমরা ভালো করব, কিন্তু আমাদের সার্বিক রপ্তানি কিন্তু কমে যাবে। আমাদের সতর্কভাবে সামনের পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইইউতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪১.৭৬ শতাংশ

আপডেট সময় : ১০:১৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ইইউতে পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

তথ্য অনুসারে, আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব বাজার থেকে ৮৬.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৯.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। আগের বছর একই সময়ে বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করেছিল ৬৯.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছিল ১৩.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক। সে হিসেবে, আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে বিশ্ব বাজার থেকে ২৪.৪১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে ৪১.৭৬ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েছে। পোশাক আমদানিতে ইইউ’র দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসের স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে, চীন ২৯.৩৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম দশ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ২২.৪৩ শতাংশ। এ সময় চীন থেকে ২৫.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। আলোচ্য সময় তুরস্ক থেকে আমদানি ১২.৮২ শতাংশ বাড়িযেছে, যার ফলে এ সময় তুরস্ক ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে।

আলোচ্য সময়ে ইইউ ভারত থেকে আমদানি বাড়িয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ। এ সময় ভারত থেকে ইইউ পোশাক আমদানি করেছে ৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে আমদানি করেছিল ৩.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক।

ইইউতে অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া ৩৯.৬৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৩৩.০৫ শতাংশ, পাকিস্তান ২৮.৫৫, মরক্কো ৯.৫৯, শ্রীলঙ্কা ১৮ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১.৭৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা ইউরোপে অনেক বেশি। সেজন্য অন্যান্য দেশের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি আমাদের অনেক কম। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্টোবর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি বাড়লেও পরবর্তীতে ইউরোপের আমদানি সব দেশ থেকেই কমেছে। এর অন্যতম কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি দিকে ইউরোপের আমদানি কমায় সব দেশেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এই সময়ও আমরা অন্যদের চেয়ে ভালো করবো বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা এসব কিছুর প্রভাব পড়াতেই কিন্তু এটি হচ্ছে। আর, প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণ হচ্ছে আমাদের পোশাকের ইউনিট ভ্যালু বেড়েছে। নতুন-নতুন পোশাক রপ্তানি হচ্ছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসবের কারণেও কিন্তু প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু, আক্ষরিক অর্থে আমরা নেতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যেটা আমরা ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসের ডাটা পেলেই দেখতে পারব। কিন্তু অন্যদের থেকে আমাদের অবকাঠামো ভালো থাকার কারণে হয়ত আমরা ভালো করব, কিন্তু আমাদের সার্বিক রপ্তানি কিন্তু কমে যাবে। আমাদের সতর্কভাবে সামনের পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।