ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানুষ খুন করলেও কেউ কিছু বলতে পারবে না : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষকে এরা মানুষ মনে করে না। এরা মনে করে প্রজা। এখানে যা খুশি তাই করবে তারা। লুট করবে, চুরি করবে, মানুষকে খুন করবে, কেউ কিছু বলতে পারবে না।

সোমবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ মানুষকে মানুষ মনে করে না। দেশটাকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। যেভাবে পারবে সেভাবে লুট করবে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ তোমাদের (সরকার) বিচার করবে। জনগণের আদালতে তোমাদের বিচার হবে। কারণ দেশের তোমরা যা ক্ষতি করেছ, স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেছ, জনগণ অবশ্যই তার বিচার করবে।

ক্ষমতাকে ধরে রাখতে সরকার স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এভাবে তাদের শেষ রক্ষা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই শুরু হয়েছে, মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমাদের এখন আরো শক্তি সঞ্চয় করে নয়নের, শাওন, আলিমের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই এদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন আপনি সাধারণ মানুষের কাছে যান, একটা রিকশাওয়ালার কাছে যান, একজন হকারের কাছে যান প্রত্যেকেই বলবে যে, এই সরকার চলবে না। আমাদের বলতে হবে না। মানুষের একটাই কামনা, এদের হাত থেকে মুক্তি দরকার।

বিচারকদের পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, বিচারকদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, দয়া করে ন্যায় বিচার করুন। কারণ এ দেশে বহু প্রমাণ আছে, বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা। কেউই পার পাবেন না।

সরকারের অপশাসনে ব্যবসায়ীরা ‘খারাপ সময়’ পার করছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একটি খবরের কাগজে বড় বড় ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা উঠে এসেছে। প্রত্যেক বড় ব্যবসায়ী একটা কথা বলছেন, আমরা খারাপ সময়ে আছি। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন এমন অবস্থা– শ্রমিকদের যে মজুরি দেবো সেই টাকা পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সময় যদি প্রণোদনা পেতাম, যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুবিধা পেতাম তাহলে হয়তো আমরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম।

তারেক রহমান নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এটা তিনি অনেক আগে থেকেই শুরু করেছেন। তিনি এ দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ২০০১ সালের আগ থেকেই কাজ শুরু করেছেন। এ কারণে আজ তিনি নতুন কথা বলেছেন– আমরা আন্দোলন করবো, এই সরকারকে সরাবো। সরিয়ে সব আন্দোলনকারী দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো।

জনকল্যাণমূলক একটি আলোকিত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশকে ডাস্টবিন বানিয়েছে। এটাকে পরিস্কার করতে হলে বাইকে নিয়ে করতে হবে। এই কারণে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো। আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরও সংস্কার করতে হবে। প্রশাসন সংস্কার করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আবার মামলা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ওপর যে মামলা খালাস হয়ে গিয়েছে সেই মামলায় আবার নতুনভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। শুধু টুকুই নয়, আমাদের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জে আমাদের কর্মী শাওনকে হত্যা করা হলো। সেই হত্যাকাণ্ডে উল্টো আমাদের মুন্সীগঞ্জের সেক্রেটারি কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করে পুলিশ বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকটা সমাবেশে আমরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই, প্রত্যেকটি সমাবেশে এ বৃদ্ধ বয়সে যা দেখলাম আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তাদের পরাজিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বারবার বলছি, আবারও বলছি, আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাতজন যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছে। এ মূল্য অবশ্যই আপনাদের দিতে হবে। এখনও সময় আছে, সরে দাঁড়ান। তা না হলে জনগণের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে, সুনামির মতো আপনাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষ খুন করলেও কেউ কিছু বলতে পারবে না : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষকে এরা মানুষ মনে করে না। এরা মনে করে প্রজা। এখানে যা খুশি তাই করবে তারা। লুট করবে, চুরি করবে, মানুষকে খুন করবে, কেউ কিছু বলতে পারবে না।

সোমবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ মানুষকে মানুষ মনে করে না। দেশটাকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। যেভাবে পারবে সেভাবে লুট করবে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ তোমাদের (সরকার) বিচার করবে। জনগণের আদালতে তোমাদের বিচার হবে। কারণ দেশের তোমরা যা ক্ষতি করেছ, স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেছ, জনগণ অবশ্যই তার বিচার করবে।

ক্ষমতাকে ধরে রাখতে সরকার স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এভাবে তাদের শেষ রক্ষা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই শুরু হয়েছে, মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমাদের এখন আরো শক্তি সঞ্চয় করে নয়নের, শাওন, আলিমের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই এদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন আপনি সাধারণ মানুষের কাছে যান, একটা রিকশাওয়ালার কাছে যান, একজন হকারের কাছে যান প্রত্যেকেই বলবে যে, এই সরকার চলবে না। আমাদের বলতে হবে না। মানুষের একটাই কামনা, এদের হাত থেকে মুক্তি দরকার।

বিচারকদের পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, বিচারকদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, দয়া করে ন্যায় বিচার করুন। কারণ এ দেশে বহু প্রমাণ আছে, বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা। কেউই পার পাবেন না।

সরকারের অপশাসনে ব্যবসায়ীরা ‘খারাপ সময়’ পার করছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একটি খবরের কাগজে বড় বড় ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা উঠে এসেছে। প্রত্যেক বড় ব্যবসায়ী একটা কথা বলছেন, আমরা খারাপ সময়ে আছি। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন এমন অবস্থা– শ্রমিকদের যে মজুরি দেবো সেই টাকা পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সময় যদি প্রণোদনা পেতাম, যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুবিধা পেতাম তাহলে হয়তো আমরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম।

তারেক রহমান নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এটা তিনি অনেক আগে থেকেই শুরু করেছেন। তিনি এ দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ২০০১ সালের আগ থেকেই কাজ শুরু করেছেন। এ কারণে আজ তিনি নতুন কথা বলেছেন– আমরা আন্দোলন করবো, এই সরকারকে সরাবো। সরিয়ে সব আন্দোলনকারী দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো।

জনকল্যাণমূলক একটি আলোকিত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশকে ডাস্টবিন বানিয়েছে। এটাকে পরিস্কার করতে হলে বাইকে নিয়ে করতে হবে। এই কারণে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো। আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরও সংস্কার করতে হবে। প্রশাসন সংস্কার করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আবার মামলা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ওপর যে মামলা খালাস হয়ে গিয়েছে সেই মামলায় আবার নতুনভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। শুধু টুকুই নয়, আমাদের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জে আমাদের কর্মী শাওনকে হত্যা করা হলো। সেই হত্যাকাণ্ডে উল্টো আমাদের মুন্সীগঞ্জের সেক্রেটারি কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করে পুলিশ বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকটা সমাবেশে আমরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই, প্রত্যেকটি সমাবেশে এ বৃদ্ধ বয়সে যা দেখলাম আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তাদের পরাজিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বারবার বলছি, আবারও বলছি, আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাতজন যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছে। এ মূল্য অবশ্যই আপনাদের দিতে হবে। এখনও সময় আছে, সরে দাঁড়ান। তা না হলে জনগণের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে, সুনামির মতো আপনাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।