ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে চারটি মূলনীতি— গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। যা সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে। সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য যেখানে সকলের জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সকলের সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয়লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিলটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে। খসড়া বিলটি সংসদে এলে তা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর মূল রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হলে তা আইনে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, সকলকে মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে, আইনের সমান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে চারটি মূলনীতি— গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। যা সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে। সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য যেখানে সকলের জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সকলের সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয়লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিলটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে। খসড়া বিলটি সংসদে এলে তা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর মূল রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হলে তা আইনে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, সকলকে মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে, আইনের সমান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।