ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মধুখালীর ঘটনায় ডুমাইন

চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার -জেলা প্রশাসক

নাজিম বকাউল, বিশেষ প্রতিবেদক-
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার গুজব রটিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুল হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নং ওর্য়াড মেম্বার অজিত কুমার সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা কোন প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে র্আথিক পুরস্কারের ঘোষনা দিয়েছে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মধুখালীর ঘটনার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহাসান তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন পেশাগত অপরাধী। ইতিমধ্যে সে দুইবার বরখাস্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বার তারা এখন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছেন। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রথমে মাগুরায় সনাক্ত করে। সেখানে ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরর্বতীতে যশোরে তাদের সনাক্ত করলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এরই মধ্যে এয়ারর্পোট ও র্বডারে রেড অ্যার্লাট জারি করে তারা যাতে কোন ভাবে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এই চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে যেকোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী , ডিডিএলজি’র উপ-পরিচালক রওশন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক র্সাবিক ইয়াসিন কবীর, সদর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার তামান্নাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাতে জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ জনকভাবে বিক্ষুব্ধ কিছু লোক স্কুল রুমের মধ্যে হাত বেধে মারপিটে দুই শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়া আরো ৫ শ্রমিক জন আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধুখালীর ঘটনায় ডুমাইন

চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার -জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার গুজব রটিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুল হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নং ওর্য়াড মেম্বার অজিত কুমার সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা কোন প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে র্আথিক পুরস্কারের ঘোষনা দিয়েছে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মধুখালীর ঘটনার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহাসান তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন পেশাগত অপরাধী। ইতিমধ্যে সে দুইবার বরখাস্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বার তারা এখন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছেন। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রথমে মাগুরায় সনাক্ত করে। সেখানে ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরর্বতীতে যশোরে তাদের সনাক্ত করলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এরই মধ্যে এয়ারর্পোট ও র্বডারে রেড অ্যার্লাট জারি করে তারা যাতে কোন ভাবে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এই চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে যেকোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী , ডিডিএলজি’র উপ-পরিচালক রওশন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক র্সাবিক ইয়াসিন কবীর, সদর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার তামান্নাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাতে জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ জনকভাবে বিক্ষুব্ধ কিছু লোক স্কুল রুমের মধ্যে হাত বেধে মারপিটে দুই শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়া আরো ৫ শ্রমিক জন আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার।