ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রচন্ড তাপদাহ ফুরফুরে মেজাজে কৃষক মনে আনন্দের হাসি

ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাওড় বেষ্টিত কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে ইটনা উপজেলা অন্যতম। প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের বসবাস। এদের প্রায় সকলেরই প্রাথমিক পেশা কৃষি। সময়ের বিবর্তনে কেউ কেউ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত হলেও কৃষি যেন এলাকার মানুষের প্রাণের স্পন্দন। সকল চিন্তা চেতনা কৃষিকেই ঘিরে।

এ বছর ইটনা উপজেলায় ২৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে বোর আবাদ করা হয়েছে। তবে যারা ২৯, ৮৯ নামের ধান রোপন করেছেন তারা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।

এ বিষয়ে ইটনা উপজেলার উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ ও ইটনা উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহবুব ইকবাল বলেন, রমজানের শেষ দিকে কুয়াশার কারণে উল্লেখিত ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটা সংখ্যার বিবেচনায় খুবই কম।

এছাড়া অন্যান্য জাতীয় ধান, পাশাপাশি হাইব্রিড জাতীয় ধানের, চলতি বোর মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, হাইব্রিড ও অন্যান্য জাতীয় ধান একর প্রতি ৯০ থেকে ১২০ মন দরে ধানের ফলন হয়েছে।

ইটনা পশ্চিমগ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন তার এক একর জমিতে ৯০ মন দর ধান হয়েছে। তাছাড়া কাটাই ও মাড়াই মৌসুমে প্রচন্ড তাপদাহ থাকায় মাড়াইয়ের সাথে সাথে ধান শুকিয়ে নিতে পারছে কৃষকগণ। এজন্য দেশের প্রচন্ড তাপদাহকে কৃষকগণ আর্শীবাদ হিসাবেই দেখছেন।

কারণ কাঙ্খিত সোনার ফসল গোলাই তুলতে ফেরে কৃষকের মনে আনন্দের হাঁসি। প্রচন্ড তাপদাহে সাময়িক কষ্ট হলেও কৃষকগণ রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। তবে হতাশা ব্যক্ত করছেন কৃষকগণ ধানের স্থানীয় বাজার নিয়ে। সরকার ১২৮০ টাকা দরে ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও স্থানীয় বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রয় করতে হচ্ছে ৭৩০ টাকা হতে ৮০০ টাকা মন দরে। তাই সরকার নির্ধারিত মূল্য স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ার দাবি রাখছেন এলাকার কৃষকগণ।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রচন্ড তাপদাহ ফুরফুরে মেজাজে কৃষক মনে আনন্দের হাসি

আপডেট সময় : ০১:২৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

হাওড় বেষ্টিত কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে ইটনা উপজেলা অন্যতম। প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের বসবাস। এদের প্রায় সকলেরই প্রাথমিক পেশা কৃষি। সময়ের বিবর্তনে কেউ কেউ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত হলেও কৃষি যেন এলাকার মানুষের প্রাণের স্পন্দন। সকল চিন্তা চেতনা কৃষিকেই ঘিরে।

এ বছর ইটনা উপজেলায় ২৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে বোর আবাদ করা হয়েছে। তবে যারা ২৯, ৮৯ নামের ধান রোপন করেছেন তারা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।

এ বিষয়ে ইটনা উপজেলার উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ ও ইটনা উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহবুব ইকবাল বলেন, রমজানের শেষ দিকে কুয়াশার কারণে উল্লেখিত ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটা সংখ্যার বিবেচনায় খুবই কম।

এছাড়া অন্যান্য জাতীয় ধান, পাশাপাশি হাইব্রিড জাতীয় ধানের, চলতি বোর মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, হাইব্রিড ও অন্যান্য জাতীয় ধান একর প্রতি ৯০ থেকে ১২০ মন দরে ধানের ফলন হয়েছে।

ইটনা পশ্চিমগ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন তার এক একর জমিতে ৯০ মন দর ধান হয়েছে। তাছাড়া কাটাই ও মাড়াই মৌসুমে প্রচন্ড তাপদাহ থাকায় মাড়াইয়ের সাথে সাথে ধান শুকিয়ে নিতে পারছে কৃষকগণ। এজন্য দেশের প্রচন্ড তাপদাহকে কৃষকগণ আর্শীবাদ হিসাবেই দেখছেন।

কারণ কাঙ্খিত সোনার ফসল গোলাই তুলতে ফেরে কৃষকের মনে আনন্দের হাঁসি। প্রচন্ড তাপদাহে সাময়িক কষ্ট হলেও কৃষকগণ রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। তবে হতাশা ব্যক্ত করছেন কৃষকগণ ধানের স্থানীয় বাজার নিয়ে। সরকার ১২৮০ টাকা দরে ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও স্থানীয় বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রয় করতে হচ্ছে ৭৩০ টাকা হতে ৮০০ টাকা মন দরে। তাই সরকার নির্ধারিত মূল্য স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ার দাবি রাখছেন এলাকার কৃষকগণ।

 

বাখ//আর