ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কটিয়াদীতে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই অনেক নিহতের

এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই একাত্তরের গণহত্যার শিকার অনেক নিহতের। এতে তরুণ প্রজন্ম গণহত্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছেনা। তাই স্থানীয় জনগন, মুক্তিযোদ্ধা ও নিহতের পরিবারের লোকজন বাদ পড়া নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে আসছে।

১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী পৌরসভাধীন বিভিন্ন গ্রামের যাদের নিমর্মভাবে হত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয়েছে। বাদ পড়েছেন অনেকে। তারা হলেন- বিদ্যাসুন্দর দাস ও তার ছেলে সঞ্জিত দাস, সুরেশ চন্দ্র নাথ, অশ্বিনী মিস্ত্রী, মিহির লাল রায়, ক্ষেত্রমোহন ঘোষ ও বিনোদ রায়।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি না পাওয়াই ও বধ্যভূমিতে নাম অন্তর্ভূক্ত না হওয়াই নিহতের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত বিদ্যাসুন্দর দাসের ছেলে দিলীপ কুমার দাস (৬৮) বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে বাবা ও ছোট ভাইকে পাকহানাদার বাহিনী নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় আছে। তাই স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের কাছে স্মৃতিস্তম্ভে বাদ পড়া নিহতের নাম অন্তর্ভূক্তের আবেদন করছি।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত বলেন, বাদ পড়া নিহতের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখার জন্য বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদ পড়া নিহতের নাম অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নিবাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই,তবে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে চেষ্টা করা হবে।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কটিয়াদীতে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই অনেক নিহতের

আপডেট সময় : ০১:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই একাত্তরের গণহত্যার শিকার অনেক নিহতের। এতে তরুণ প্রজন্ম গণহত্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছেনা। তাই স্থানীয় জনগন, মুক্তিযোদ্ধা ও নিহতের পরিবারের লোকজন বাদ পড়া নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে আসছে।

১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী পৌরসভাধীন বিভিন্ন গ্রামের যাদের নিমর্মভাবে হত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয়েছে। বাদ পড়েছেন অনেকে। তারা হলেন- বিদ্যাসুন্দর দাস ও তার ছেলে সঞ্জিত দাস, সুরেশ চন্দ্র নাথ, অশ্বিনী মিস্ত্রী, মিহির লাল রায়, ক্ষেত্রমোহন ঘোষ ও বিনোদ রায়।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি না পাওয়াই ও বধ্যভূমিতে নাম অন্তর্ভূক্ত না হওয়াই নিহতের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত বিদ্যাসুন্দর দাসের ছেলে দিলীপ কুমার দাস (৬৮) বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে বাবা ও ছোট ভাইকে পাকহানাদার বাহিনী নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় আছে। তাই স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের কাছে স্মৃতিস্তম্ভে বাদ পড়া নিহতের নাম অন্তর্ভূক্তের আবেদন করছি।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত বলেন, বাদ পড়া নিহতের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখার জন্য বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদ পড়া নিহতের নাম অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নিবাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই,তবে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে চেষ্টা করা হবে।

 

বাখ//আর