ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড : রমনা ডিসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ধাক্কা দেওয়ার পর প্রাইভেটকারের নিচে আটকে পড়া নারীকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত ছেচড়ে নিয়ে যান চালক। পরে হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এটিকে দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড বলছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, এত মানুষের ডাকাডাকির পরও কেন তিনি গাড়ি থামাননি আমার জানা নাই। উনি কি আসলেই দেখেননি! লুকিং গ্লাসে তাকালেই কিন্তু উনি মহিলাকে দেখতে পেতেন। আমি বলব, এটা হত্যাকাণ্ড।

ওই শিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত এখনো চলমান। তবে যেহেতু তিনি শিক্ষক মানুষ, লাইসেন্স নিশ্চয় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ধাক্কা দিলে চালকসহ গাড়িটি পড়ে যায়। আর ওই নারী প্রাইভেটকারের সাইডে আটকে যান। এ অবস্থায় প্রাইভেটকারটি নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত চালিয়ে যায়। রাস্তার মানুষ ও টিএসসির মোবাইল টিম গাড়ির পেছনে ছুটলেও তিনি গাড়ি থামাননি। প্রাইভেটকারের চালক ঢাবির সাবেক অধ্যাপক। গণপিটুনিতে আহত হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন থেকে এক স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারপর থেকে তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। ওই শিক্ষক সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড : রমনা ডিসি

আপডেট সময় : ১১:০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ধাক্কা দেওয়ার পর প্রাইভেটকারের নিচে আটকে পড়া নারীকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত ছেচড়ে নিয়ে যান চালক। পরে হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এটিকে দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড বলছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, এত মানুষের ডাকাডাকির পরও কেন তিনি গাড়ি থামাননি আমার জানা নাই। উনি কি আসলেই দেখেননি! লুকিং গ্লাসে তাকালেই কিন্তু উনি মহিলাকে দেখতে পেতেন। আমি বলব, এটা হত্যাকাণ্ড।

ওই শিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত এখনো চলমান। তবে যেহেতু তিনি শিক্ষক মানুষ, লাইসেন্স নিশ্চয় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ধাক্কা দিলে চালকসহ গাড়িটি পড়ে যায়। আর ওই নারী প্রাইভেটকারের সাইডে আটকে যান। এ অবস্থায় প্রাইভেটকারটি নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত চালিয়ে যায়। রাস্তার মানুষ ও টিএসসির মোবাইল টিম গাড়ির পেছনে ছুটলেও তিনি গাড়ি থামাননি। প্রাইভেটকারের চালক ঢাবির সাবেক অধ্যাপক। গণপিটুনিতে আহত হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন থেকে এক স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারপর থেকে তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। ওই শিক্ষক সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।