ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকুন্দিয়ায় জমি অধিগ্রহণের টাকার দাবীতে মানববন্ধন

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসির ব্যানারে উপজেলার বরাটিয়া মৌজার জমির মালিক ও ব্যবসায়িরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ক্ষতিগ্রস্ত মো. নূরুল ইসলাম, আবু রায়হান রতন, আজিজুর রহমান ফারুক, মো. রশিদ মিয়া ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের সম্প্রসারণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাটিয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সড়কের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা হয়েছে। ২০২১ সালে ওই এলাকার ১২০ জন মালিকের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যার অর্থ এখনও পরিশোধ করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার বরাটিয়া মৌজার ক্ষতিগ্রস্তরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

জমির মালিক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, তিন বছরেরও বেশি সময় আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের জমিতে মাটি ভরাট করেছে। অধিগ্রহণের আগেই আমরা জমি দিয়েছি। কিন্তু সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গেলেও আমরা এখনও টাকা পাইনি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের জমির টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

জমির আরেক মালিক আবু রায়হান রতন বলেন, আমার ১০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে অনেক গাছপালা ছিল। বরাটিয়া মৌজায় আবাদি জমির বর্তমান দর ৬ লাখ টাকা শতাংশ ও বাজারের জমির দর ১৫ লাখ টাকা শতাংশ রয়েছে। আমরা এর ন্যায্য মূল্য সরকারের কাছে দাবী করছি।

জমির আরেক মালিক মো. রশিদ মিয়া বলেন, বরাটিয়া চৌরাস্তা বাজারে প্রধান সড়কের পাশে আমার একটি আধাপাকা ঘর রয়েছে। পুরো ঘরটি অধিগ্রহণ করে নিয়ে গেছে। আমরা ২০২১ সালে একটি নোটিশ ও ২০২২ সালে আরেকটি নোটিশ পেয়েছি। এরপর আর কোন নোটিশ পাইনি। কিন্তু তিন বছর আগে অর্ধেক ঘর ভেঙে সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও এখনও আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। অতি দ্রুত যাতে টাকা আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাই সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা অবশ্যই শতভাগ টাকা পেয়ে যাবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যেই জমির মালিকরা টাকা পেয়ে যাবেন।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকুন্দিয়ায় জমি অধিগ্রহণের টাকার দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসির ব্যানারে উপজেলার বরাটিয়া মৌজার জমির মালিক ও ব্যবসায়িরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ক্ষতিগ্রস্ত মো. নূরুল ইসলাম, আবু রায়হান রতন, আজিজুর রহমান ফারুক, মো. রশিদ মিয়া ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের সম্প্রসারণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাটিয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সড়কের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা হয়েছে। ২০২১ সালে ওই এলাকার ১২০ জন মালিকের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যার অর্থ এখনও পরিশোধ করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার বরাটিয়া মৌজার ক্ষতিগ্রস্তরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

জমির মালিক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, তিন বছরেরও বেশি সময় আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের জমিতে মাটি ভরাট করেছে। অধিগ্রহণের আগেই আমরা জমি দিয়েছি। কিন্তু সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গেলেও আমরা এখনও টাকা পাইনি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের জমির টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

জমির আরেক মালিক আবু রায়হান রতন বলেন, আমার ১০ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে অনেক গাছপালা ছিল। বরাটিয়া মৌজায় আবাদি জমির বর্তমান দর ৬ লাখ টাকা শতাংশ ও বাজারের জমির দর ১৫ লাখ টাকা শতাংশ রয়েছে। আমরা এর ন্যায্য মূল্য সরকারের কাছে দাবী করছি।

জমির আরেক মালিক মো. রশিদ মিয়া বলেন, বরাটিয়া চৌরাস্তা বাজারে প্রধান সড়কের পাশে আমার একটি আধাপাকা ঘর রয়েছে। পুরো ঘরটি অধিগ্রহণ করে নিয়ে গেছে। আমরা ২০২১ সালে একটি নোটিশ ও ২০২২ সালে আরেকটি নোটিশ পেয়েছি। এরপর আর কোন নোটিশ পাইনি। কিন্তু তিন বছর আগে অর্ধেক ঘর ভেঙে সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও এখনও আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। অতি দ্রুত যাতে টাকা আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাই সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা অবশ্যই শতভাগ টাকা পেয়ে যাবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যেই জমির মালিকরা টাকা পেয়ে যাবেন।

 

বাখ//আর