ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি এটিআর-৭২ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪৪ জন। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কাস্কি জেলার পোখারায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এটি। নিহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। জানা গেছে, প্লেনটি অবতরণের সময় এতে আগুন ধরে যায়।

দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ৬৮ যাত্রী এবং চারজন ক্রু। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপাল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরুলা বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। (দুর্ঘটনার সময়) আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। স্থানীয় টেলিভিশনে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় লোকজনকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের চারপাশে জড়ো হতেও দেখা যায়।

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। প্লেনটিতে আরোহীদের মধ্যে দু’টি শিশু, চারজন ক্রু সদস্য এবং ১০ জন বিদেশি নাগরিক।

এদিকে দুর্ঘটনার পর শতাধিক উদ্ধারকর্মী পাহাড়ের ধারে ওই দুর্ঘটনাস্থল হাজির হন। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির বয়স ১৫ বছর।

বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত টুইন ইঞ্জিন টার্বোপ্রপ বিমান এটিআর ৭২ হচ্ছে এয়ারবাস এবং ইতালির লিওনার্দোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট অনুসারে, সংস্থাটির বহরে ছয়টি এটিআর৭২-৫০০ মডেলের বিমান রয়েছে।

রয়টার্স বলছে, নেপালে বিমান দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কারণ এভারেস্টসহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটির অবস্থান এই দেশটিতে এবং এই কারণে আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে এবং বিমান চলাচলের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

একটি উদ্ধারকারী দল এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। দেশটির সেনা সদস্যরা যোগ দিয়েছেন উদ্ধার কাজে।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুইজন দক্ষিণ কোরিয়ান, একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন ফ্রেঞ্চ এবং একজন আর্জেন্টিনিয়ান নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে নেপাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল বিমান দুর্ঘটনার পর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলে নেপালের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয় নেপালে। সে দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে প্রাণ হারান ৫১ জন। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি এটিআর-৭২ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪৪ জন। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কাস্কি জেলার পোখারায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এটি। নিহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। জানা গেছে, প্লেনটি অবতরণের সময় এতে আগুন ধরে যায়।

দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ৬৮ যাত্রী এবং চারজন ক্রু। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপাল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরুলা বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। (দুর্ঘটনার সময়) আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। স্থানীয় টেলিভিশনে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় লোকজনকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের চারপাশে জড়ো হতেও দেখা যায়।

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। প্লেনটিতে আরোহীদের মধ্যে দু’টি শিশু, চারজন ক্রু সদস্য এবং ১০ জন বিদেশি নাগরিক।

এদিকে দুর্ঘটনার পর শতাধিক উদ্ধারকর্মী পাহাড়ের ধারে ওই দুর্ঘটনাস্থল হাজির হন। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটির বয়স ১৫ বছর।

বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত টুইন ইঞ্জিন টার্বোপ্রপ বিমান এটিআর ৭২ হচ্ছে এয়ারবাস এবং ইতালির লিওনার্দোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট অনুসারে, সংস্থাটির বহরে ছয়টি এটিআর৭২-৫০০ মডেলের বিমান রয়েছে।

রয়টার্স বলছে, নেপালে বিমান দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কারণ এভারেস্টসহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটির অবস্থান এই দেশটিতে এবং এই কারণে আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে এবং বিমান চলাচলের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

একটি উদ্ধারকারী দল এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। দেশটির সেনা সদস্যরা যোগ দিয়েছেন উদ্ধার কাজে।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুইজন দক্ষিণ কোরিয়ান, একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন ফ্রেঞ্চ এবং একজন আর্জেন্টিনিয়ান নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে নেপাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল বিমান দুর্ঘটনার পর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলে নেপালের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয় নেপালে। সে দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে প্রাণ হারান ৫১ জন। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, বিবিসি।