ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না : নানক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর টাউন হলে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, আপনারা যে ষড়যন্ত্র করছেন। সে সকল ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার-পরিত্যাগ করে আসুন গণতন্ত্রের পথে। আসুন নির্বাচনের পথে। নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না। নির্বাচনই হলো ক্ষমতা বদলের একমাত্র পথ। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন। সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সব ষড়যন্ত্রের জবাব এদেশের জনগণ দেবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ওরা মায়ের সামনে মেয়েকে এবং ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা করেছে। তারপরও চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। ওরা আন্দোলন সমাবেশের নামে এদেশে যা ঘটিয়েছে তা জনগণ দেখেছে। যাত্রীসহ বাসে অগ্নিসংযোগ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে। ওরা রেললাইন উপরে ফেলে রেল স্টেশনে আগুন দিয়েছে। এমনি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। ওরা বিজিবি সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি। ওরা গাছ কেটে দিয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা সব কাট কেটে দেশকে মরুভূমি বানিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা মানুষের শক্তি হিসেবে গাছ রোপন করে দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, এদেশের মানুষকে আপনারা ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। আপনারা আমাদের গণতন্ত্র শেখান? এই বাংলাদেশে বহু ষড়যন্ত্র করেছেন। লন্ডনে বসে থাকা কুলাঙ্গার তারেক রহমান আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রের পর আপনারা তারিখ ঘোষণা করে বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের কথায়। সেই ১০ তারিখ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ ঠিকই চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ রয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইছে, বিএনপি তাদের হাতে লাঠি মাথায় ধানের শীষ নিয়ে আন্দোলনে নামছে। এই যে দেশে করোনা গেলো, এতো মানুষ মারা গেল, মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। তখন বিএনপি কোথায় ছিল? একদিকে তারেক জিয়া খাম্বা বিক্রি করে বিদেশ পালিয়া আছে। মামলার ভয়ে দেশে আসে না। আবার বিদেশ বসে রাজনীতি করে দেশের সাধারণ জনগণকে বিপাকে ফেলছে। আরেকদিকে, তার মা খালেদা জিয়া এতিমের হক মেরে খেয়ে জেল খাটছে। এখনও সময় আছে, দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগতো নৌকায় ভোট দিবেই। সাথে সাথে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং করছে। তারাও শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। বিএনপি নেতাদের ঘরে ঘরে খবর নিয়েন। তারা কাকে ভোট দিয়েছে। কারণ, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে। তার জন্যই বিএনপির ঘরের লোক শেখ হাসিনাকেই ভোট দেবে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজিসহ মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগর থানার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি সমাবেশ শেষে মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে শান্তি মিছিল বের হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিন করে আবার টাউন হলে এসে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না : নানক

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর টাউন হলে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, আপনারা যে ষড়যন্ত্র করছেন। সে সকল ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার-পরিত্যাগ করে আসুন গণতন্ত্রের পথে। আসুন নির্বাচনের পথে। নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না। নির্বাচনই হলো ক্ষমতা বদলের একমাত্র পথ। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন। সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সব ষড়যন্ত্রের জবাব এদেশের জনগণ দেবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ওরা মায়ের সামনে মেয়েকে এবং ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা করেছে। তারপরও চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। ওরা আন্দোলন সমাবেশের নামে এদেশে যা ঘটিয়েছে তা জনগণ দেখেছে। যাত্রীসহ বাসে অগ্নিসংযোগ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে। ওরা রেললাইন উপরে ফেলে রেল স্টেশনে আগুন দিয়েছে। এমনি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। ওরা বিজিবি সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি। ওরা গাছ কেটে দিয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা সব কাট কেটে দেশকে মরুভূমি বানিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা মানুষের শক্তি হিসেবে গাছ রোপন করে দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, এদেশের মানুষকে আপনারা ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। আপনারা আমাদের গণতন্ত্র শেখান? এই বাংলাদেশে বহু ষড়যন্ত্র করেছেন। লন্ডনে বসে থাকা কুলাঙ্গার তারেক রহমান আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রের পর আপনারা তারিখ ঘোষণা করে বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের কথায়। সেই ১০ তারিখ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ ঠিকই চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ রয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইছে, বিএনপি তাদের হাতে লাঠি মাথায় ধানের শীষ নিয়ে আন্দোলনে নামছে। এই যে দেশে করোনা গেলো, এতো মানুষ মারা গেল, মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। তখন বিএনপি কোথায় ছিল? একদিকে তারেক জিয়া খাম্বা বিক্রি করে বিদেশ পালিয়া আছে। মামলার ভয়ে দেশে আসে না। আবার বিদেশ বসে রাজনীতি করে দেশের সাধারণ জনগণকে বিপাকে ফেলছে। আরেকদিকে, তার মা খালেদা জিয়া এতিমের হক মেরে খেয়ে জেল খাটছে। এখনও সময় আছে, দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগতো নৌকায় ভোট দিবেই। সাথে সাথে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং করছে। তারাও শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। বিএনপি নেতাদের ঘরে ঘরে খবর নিয়েন। তারা কাকে ভোট দিয়েছে। কারণ, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে। তার জন্যই বিএনপির ঘরের লোক শেখ হাসিনাকেই ভোট দেবে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজিসহ মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগর থানার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি সমাবেশ শেষে মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে শান্তি মিছিল বের হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিন করে আবার টাউন হলে এসে শেষ হয়।