ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন হয়েছে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটানা ১৪ বছর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকায় দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরের সময় লন্ডনে বিবিসি’কে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, আগামীতেও হবে।

সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎকার নেন বিবিসি’র সাংবাদিক ইয়েলদা হাকিম। গতরাতে বিবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রায় আধঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের নির্বাচন, র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের ্ত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে আমেরিকার পরামর্শে এই বাহিনী গড়া। তাদের সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণেই কাজ করেছে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এটা কেন করলো ? ইয়েলদা আবারও জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতায় চায় না। হয়তো তারা চায়না আমার কাজ অব্যাহত থাকুক। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি সেটা হয়তো তারা গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি। একটা পর্যায়ে সন্ত্রাস সব দেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছিলো। আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমার বাবা ও পরিবাররে সদস্যদের হত্যার পর খুনিরা দায়মুক্তি পেয়েছিলো। তখন তারা কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে।’

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছি আজীবন। নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ এবং অবাধ হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোট শুরুতে অংশ নেয়। ৩০০ আসনে তারা মনোনয়ন দেয় প্রায় ৭০০ জনকে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে যায়। তাহলে তারা কীভাবে দাবি করতে পারে যে, নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলো খুব বেশি প্রমাণ করতে পারেনি। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরাও সমর্থন করিনা’। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন হয়েছে’

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটানা ১৪ বছর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকায় দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরের সময় লন্ডনে বিবিসি’কে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, আগামীতেও হবে।

সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎকার নেন বিবিসি’র সাংবাদিক ইয়েলদা হাকিম। গতরাতে বিবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রায় আধঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের নির্বাচন, র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের ্ত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে আমেরিকার পরামর্শে এই বাহিনী গড়া। তাদের সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণেই কাজ করেছে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এটা কেন করলো ? ইয়েলদা আবারও জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতায় চায় না। হয়তো তারা চায়না আমার কাজ অব্যাহত থাকুক। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি সেটা হয়তো তারা গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি। একটা পর্যায়ে সন্ত্রাস সব দেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছিলো। আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমার বাবা ও পরিবাররে সদস্যদের হত্যার পর খুনিরা দায়মুক্তি পেয়েছিলো। তখন তারা কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে।’

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছি আজীবন। নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ এবং অবাধ হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোট শুরুতে অংশ নেয়। ৩০০ আসনে তারা মনোনয়ন দেয় প্রায় ৭০০ জনকে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে যায়। তাহলে তারা কীভাবে দাবি করতে পারে যে, নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলো খুব বেশি প্রমাণ করতে পারেনি। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরাও সমর্থন করিনা’। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।