ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আজকের শিশুরাই আগামীর স্মার্ট জনগোষ্ঠী- প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের আগামী দিনের যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। আজ (শুক্রবার) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই, তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন’।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুর“ করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি’।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে পচাত্তরে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন। এবছর জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। এতে প্রধান অতিথি হয়ে শিশুদের সাথে নিয়ে মঞ্চে বসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিশু-কিশোর এই সমাবেশে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করে শিশুরা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় করেন সরকার প্রধান। এরপর এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান রচিত শিশুদের শেখ মুজিব গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজকের শিশুরাই আগামীর স্মার্ট জনগোষ্ঠী- প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের আগামী দিনের যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। আজ (শুক্রবার) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই, তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন’।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুর“ করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি’।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে পচাত্তরে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন। এবছর জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। এতে প্রধান অতিথি হয়ে শিশুদের সাথে নিয়ে মঞ্চে বসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিশু-কিশোর এই সমাবেশে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করে শিশুরা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় করেন সরকার প্রধান। এরপর এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান রচিত শিশুদের শেখ মুজিব গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।