বিএনপির আন্দোলনের পতনধ্বনি শুনতে পাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে, হবেও না। তারা (বিএনপি) বাড়াবাড়ি করছে, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটিয়ে বিজয় মিছিল করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। সরকারের পতন নয়, বরং আওয়ামী লীগ বিএনপির আন্দোলনের পতনধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। বিএনপি পালাবার পথ পাবে না। আওয়ামী লীগ পালাবে না, প্রয়োজনে জেলে যাবে, তবুও পালানোর পথ খুঁজে না আওয়ামী লীগ। তাদের (বিএনপি) নেতা মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মতো পালিয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি সম্মেলনটির আয়োজন করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নিতেই ’৭৫ সালের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে না। বাধা দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দলটির দুই নেতাই দণ্ডিত। আর বেগম জিয়া এতিমের টাকা লুটপাটের দায়ে দণ্ডিত। বেগম জিয়াকে বিএনপি মুক্ত করতে পারেনি। সরকার মানবিক দিক বিচার করে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যে বাড়াবাড়ির কথা বলেন, তার একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, দণ্ড স্থগিত করে বাসায় রাখা শেখ হাসিনার উদারতা।
সংবিধান দিবস প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ ৫০তম সংবিধান দিবস। আমাদের সংবিধান এতো ভাল যে, সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত সংবিধান। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। সামরিক আমলে আর্টিকেল ৭ কচুকাটা হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশের সংবিধান সেরা।
আগামী নির্বাচনও এই সংবিধান অনুযায়ী হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক আমলে সংবিধান বহুবার কচুকাটা হয়েছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। খেয়াল খুশিমতো সংবিধানকে ব্যবহার করা পৃথিবীর কোথাও চলে না। এখানেও চলবে না। আগামী নির্বাচনও হবে সংবিধান অনুযায়ী। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, মানুষ খুব কষ্টে আছে। সেটির সমাধানই এখন মুখ্য বিষয়। সঙ্কট থেকে পরিত্রাণই এখন সরকারের প্রধান কাজ।
সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুর। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।