ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাহারি পিঠা নিয়ে দক্ষিণ সিটিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথমবারের মতো বাহারি পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। কর্পোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বর সংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। উদ্বোধন শেষে স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।

উৎসবে মোট ১৫টি স্টলে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কর্পোরেশনের সাধারণ আসনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা এসব স্টলে নানারকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন।

উৎসবে আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি-এমন সব বাহারি নাম ও স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নেন। বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তারা।

পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা লোকজগান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশনায় আমরা প্রথমবারের মতো এই উৎসব আয়োজন করেছি। বাঙালির ঐতিহ্যের এই ধারা বজায় রাখতে মেয়র এখন থেকে প্রতি বছরই পিঠা উৎসবের আয়োজন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

উৎসবে মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদসহ সব বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কাউন্সিলর এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে ৩টি স্টলকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাহারি পিঠা নিয়ে দক্ষিণ সিটিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব

আপডেট সময় : ১১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথমবারের মতো বাহারি পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। কর্পোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বর সংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। উদ্বোধন শেষে স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।

উৎসবে মোট ১৫টি স্টলে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কর্পোরেশনের সাধারণ আসনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা এসব স্টলে নানারকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন।

উৎসবে আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি-এমন সব বাহারি নাম ও স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নেন। বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তারা।

পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা লোকজগান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশনায় আমরা প্রথমবারের মতো এই উৎসব আয়োজন করেছি। বাঙালির ঐতিহ্যের এই ধারা বজায় রাখতে মেয়র এখন থেকে প্রতি বছরই পিঠা উৎসবের আয়োজন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

উৎসবে মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদসহ সব বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কাউন্সিলর এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে ৩টি স্টলকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।