ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৬০ সন্তানের বাবা চতুর্থ বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বাসিন্দা সরদার হাজি জান মুহাম্মদ খান। রোববার (১ জানুয়ারি) ৬০তম সন্তানের বাবা হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচটি সন্তান মারা গেছে, বাকি সবাই সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছে বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন এ পাকিস্তানি নাগরিক। তবে এখনই থেমে যাবেন না, ‘আল্লাহ চাইলে’ তিনি আরো সন্তানের বাবা হতে চান। এ জন্য চতুর্থবার বিয়ে করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন।

৫০ বছর বয়সী সরদার জান মুহাম্মদ থাকেন কোয়েটা শহরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায়। তিনি খালজি গোত্রের সদস্য এবং পেশায় চিকিৎসক। ওই এলাকায় তার একটি ক্লিনিক রয়েছে।

সরদার জান মুহাম্মাদ খান তার ৬০তম সন্তানের নাম রেখেছেন খুশহাল খান। তিনি বলেন, খুশালের জন্মের আগে তার মাকে আমি উমরাহ করতে নিয়ে গিয়েছিলাম, এজন্য তাকে (সদ্যোজাত সন্তানকে) আমি হাজী খুশাল খান ডাকব।

তিনি জানান, এত সন্তানের নাম মনে থাকে কি না, জানতে চাইলে জবাবে বলেন, কেন নয়? ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা থাকবে যে আটটি দেশের, পাকিস্তান তার অন্যতম। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে, এবং ২০২০ সালে এই হার ছিল এক শতাংশেরও কম। কিন্তু পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে এক শতাংশের নিচে, পাকিস্তানে সেটি এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

সরদার জান মুহাম্মাদ খান জানান, তিনি চতুর্থ বিয়ে করতে চান এবং সেজন্য তিনি পাত্রী খুঁজছেন। তিনি বলেন, আমার সব বন্ধুকে বলে রেখেছি আমাকে চতুর্থ বিয়ের জন্য একজন পাত্রী খুঁজে দিতে। বয়স হয়ে যাচ্ছে, তাই তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজটা সারতে চাই।

তিনি একাই কেবল আরো সন্তান চান বিষয়টি এমন নয়, তার স্ত্রীরাও একইভাবে আরো সন্তান চান। তাদের সন্তানদের মধ্যে পুত্রের চেয়ে কন্যার সংখ্যা বেশি।

কয়েকজন সন্তানের বয়স ২০ বছরের বেশি, তবে তাদের কারো এখনো বিয়ে হয়নি এবং তারা পড়াশোনা করছে। জান মুহাম্মাদ বলেন, তার কোনো বড় ব্যবসা নেই, একমাত্র ক্লিনিকের আয় দিয়েই তাকে সব খরচ সামলাতে হয়।

সন্তানদের নিয়ে আগে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও, গত তিন বছরে পাকিস্তানে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে সংসারের খরচ নিয়ে তিনি বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ, আটা-ঘি-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম তিনগুণ বেড়েছে। পাকিস্তানের সব মানুষ, দুনিয়ার মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে ভুগছে। আমার ওপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

সন্তানদের সব সময় খুশী রাখা চেষ্টা করেন সরদার জান মুহাম্মাদ খান, এবং এজন্য তিনি কারো কাছে হাত পাতেননি, বরং কঠোর পরিশ্রম করছেন। সব বাচ্চাদের পড়ালেখা করানো হচ্ছে।

সন্তান পালনে নিজে কারো কাছে সাহায্য না চাইলেও সরদার জান মুহাম্মাদ খান বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার সন্তানদেরও সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। অধিক সন্তান থাকার জন্য তাকে কোনো ভাতা দিলে তার সুবিধা হতো বলে দাবি করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬০ সন্তানের বাবা চতুর্থ বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন

আপডেট সময় : ১১:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বাসিন্দা সরদার হাজি জান মুহাম্মদ খান। রোববার (১ জানুয়ারি) ৬০তম সন্তানের বাবা হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচটি সন্তান মারা গেছে, বাকি সবাই সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছে বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন এ পাকিস্তানি নাগরিক। তবে এখনই থেমে যাবেন না, ‘আল্লাহ চাইলে’ তিনি আরো সন্তানের বাবা হতে চান। এ জন্য চতুর্থবার বিয়ে করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন।

৫০ বছর বয়সী সরদার জান মুহাম্মদ থাকেন কোয়েটা শহরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায়। তিনি খালজি গোত্রের সদস্য এবং পেশায় চিকিৎসক। ওই এলাকায় তার একটি ক্লিনিক রয়েছে।

সরদার জান মুহাম্মাদ খান তার ৬০তম সন্তানের নাম রেখেছেন খুশহাল খান। তিনি বলেন, খুশালের জন্মের আগে তার মাকে আমি উমরাহ করতে নিয়ে গিয়েছিলাম, এজন্য তাকে (সদ্যোজাত সন্তানকে) আমি হাজী খুশাল খান ডাকব।

তিনি জানান, এত সন্তানের নাম মনে থাকে কি না, জানতে চাইলে জবাবে বলেন, কেন নয়? ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা থাকবে যে আটটি দেশের, পাকিস্তান তার অন্যতম। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে, এবং ২০২০ সালে এই হার ছিল এক শতাংশেরও কম। কিন্তু পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে এক শতাংশের নিচে, পাকিস্তানে সেটি এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

সরদার জান মুহাম্মাদ খান জানান, তিনি চতুর্থ বিয়ে করতে চান এবং সেজন্য তিনি পাত্রী খুঁজছেন। তিনি বলেন, আমার সব বন্ধুকে বলে রেখেছি আমাকে চতুর্থ বিয়ের জন্য একজন পাত্রী খুঁজে দিতে। বয়স হয়ে যাচ্ছে, তাই তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজটা সারতে চাই।

তিনি একাই কেবল আরো সন্তান চান বিষয়টি এমন নয়, তার স্ত্রীরাও একইভাবে আরো সন্তান চান। তাদের সন্তানদের মধ্যে পুত্রের চেয়ে কন্যার সংখ্যা বেশি।

কয়েকজন সন্তানের বয়স ২০ বছরের বেশি, তবে তাদের কারো এখনো বিয়ে হয়নি এবং তারা পড়াশোনা করছে। জান মুহাম্মাদ বলেন, তার কোনো বড় ব্যবসা নেই, একমাত্র ক্লিনিকের আয় দিয়েই তাকে সব খরচ সামলাতে হয়।

সন্তানদের নিয়ে আগে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও, গত তিন বছরে পাকিস্তানে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে সংসারের খরচ নিয়ে তিনি বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ, আটা-ঘি-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম তিনগুণ বেড়েছে। পাকিস্তানের সব মানুষ, দুনিয়ার মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে ভুগছে। আমার ওপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

সন্তানদের সব সময় খুশী রাখা চেষ্টা করেন সরদার জান মুহাম্মাদ খান, এবং এজন্য তিনি কারো কাছে হাত পাতেননি, বরং কঠোর পরিশ্রম করছেন। সব বাচ্চাদের পড়ালেখা করানো হচ্ছে।

সন্তান পালনে নিজে কারো কাছে সাহায্য না চাইলেও সরদার জান মুহাম্মাদ খান বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার সন্তানদেরও সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। অধিক সন্তান থাকার জন্য তাকে কোনো ভাতা দিলে তার সুবিধা হতো বলে দাবি করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি।