ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র গরমে কলাপাড়ায় হাতপাখার বিক্রির হিড়িক

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। তার ওপর আবার ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে গরমে হাঁসফাঁস করছেন কলাপাড়া  উপজেলার কর্মব্যস্ত মানুষ।  অতিষ্ঠ গরম নিবাবরনের জন্য তাই শহরে বেড়েছে হাত পাখা কেনার ধুম।
বৃহস্পতিবার  দুপুরে পৌর এলাকার নতুন বাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে হাত পাখা বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি হাত পাখা ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছে। গত বছর  এই পাখা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হতো।এ সময় নানা বয়সের নারী-পরুষদের ৩৫ থেকে৪০  টাকায় হাত পাখা কিনতে দেখা যায়।
জানা গেছে, কেওযা পাতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই হাতপাখা গ্রামীণ জনজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে তালপাখার জুরি নেই সুদীর্ঘকাল থেকে। কেওয়াপাতা কেটে রোদে শুকিয়ে বাঁশের শলা ও সুতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এই হাতপাখা।
পাখা বিক্রেতা আবদুল  কাদের  বলেন, ‘আমি  কাজের ফাঁকে গরমের সিজনে তিন বছর ধরে হাতপাখা বিক্রি করছি। গত কয়েক বছরের চেয়ে এই বছর অনেক বেশি পাখা বিক্রি হয়েছে। এতে আর্থিক বেশ লাভ হয়েছে।’
নতুন বাজারের বাসিন্দা আহাল উল্লাহ মাওলানা  জানান, সারাদিন- রাতের বেলায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড সেডিং হওয়ার কারণে আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে রাতে ও দিনের বেলায় ঘরের ভেতরে থাকতে পারি না। তাই ফ্যানের বিকল্প হিসেবে আমরা নিরুপায় হয়ে হাত পাখা কিনছি।
ব্যবসায়ী বাসুদেব জানান, বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে হাতপাখা ব্যবহার করেন তারা। পাশাপাশি ২০ টাকার পাখা ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় সুলভ মূল্যে পাখা কেনা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
খেপুপাড়া সরকারি মোজাহার  উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক আবু ইউসুফ বলেন, লোডশেডিংয়ের এই বিরূপ পরিবেশ শীতল করতে হাতপাখার জুড়ি নেই। তাই এই গরমে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশু, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বস্তি দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সুলভ বা বিনা মূল্যে জনপ্রতি একটি করে হাতপাখা ও খাবার স্যালাইন  দেওয়ার আহ্বান জানাই।
অপরদিকে আবহাওয়া অফিস সারা দেশের তাপমাত্রা কমার বিষয়ে এখনো কোন ধরনের সু-খবর দিতে পারনি। ইতিমধ্যই সরকার সারাদেশে ২৫ মার্চ থেকে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র গরমে কলাপাড়ায় হাতপাখার বিক্রির হিড়িক

আপডেট সময় : ১০:১৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। তার ওপর আবার ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে গরমে হাঁসফাঁস করছেন কলাপাড়া  উপজেলার কর্মব্যস্ত মানুষ।  অতিষ্ঠ গরম নিবাবরনের জন্য তাই শহরে বেড়েছে হাত পাখা কেনার ধুম।
বৃহস্পতিবার  দুপুরে পৌর এলাকার নতুন বাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে হাত পাখা বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি হাত পাখা ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছে। গত বছর  এই পাখা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হতো।এ সময় নানা বয়সের নারী-পরুষদের ৩৫ থেকে৪০  টাকায় হাত পাখা কিনতে দেখা যায়।
জানা গেছে, কেওযা পাতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই হাতপাখা গ্রামীণ জনজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে তালপাখার জুরি নেই সুদীর্ঘকাল থেকে। কেওয়াপাতা কেটে রোদে শুকিয়ে বাঁশের শলা ও সুতা দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এই হাতপাখা।
পাখা বিক্রেতা আবদুল  কাদের  বলেন, ‘আমি  কাজের ফাঁকে গরমের সিজনে তিন বছর ধরে হাতপাখা বিক্রি করছি। গত কয়েক বছরের চেয়ে এই বছর অনেক বেশি পাখা বিক্রি হয়েছে। এতে আর্থিক বেশ লাভ হয়েছে।’
নতুন বাজারের বাসিন্দা আহাল উল্লাহ মাওলানা  জানান, সারাদিন- রাতের বেলায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড সেডিং হওয়ার কারণে আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে রাতে ও দিনের বেলায় ঘরের ভেতরে থাকতে পারি না। তাই ফ্যানের বিকল্প হিসেবে আমরা নিরুপায় হয়ে হাত পাখা কিনছি।
ব্যবসায়ী বাসুদেব জানান, বৈদ্যুতিক পাখার বিকল্প হিসেবে হাতপাখা ব্যবহার করেন তারা। পাশাপাশি ২০ টাকার পাখা ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় সুলভ মূল্যে পাখা কেনা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
খেপুপাড়া সরকারি মোজাহার  উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক আবু ইউসুফ বলেন, লোডশেডিংয়ের এই বিরূপ পরিবেশ শীতল করতে হাতপাখার জুড়ি নেই। তাই এই গরমে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশু, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বস্তি দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সুলভ বা বিনা মূল্যে জনপ্রতি একটি করে হাতপাখা ও খাবার স্যালাইন  দেওয়ার আহ্বান জানাই।
অপরদিকে আবহাওয়া অফিস সারা দেশের তাপমাত্রা কমার বিষয়ে এখনো কোন ধরনের সু-খবর দিতে পারনি। ইতিমধ্যই সরকার সারাদেশে ২৫ মার্চ থেকে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছেন।