ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে দেশের রিজার্ভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। এবার তা ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এতে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৯ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ রয়েছে ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থাটির ঋণের কিস্তি ছাড় পেতে নিট রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকতে হবে।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যা প্রথম। করোনা মহামারিকালে রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচও বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়।

বাড়তি চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বাড়ে। গত রোববার রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগে তা ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। বর্তমানে যার সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। এসব দেশ থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর বিল ২ মাস পর পর আকু মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে দেশের রিজার্ভ

আপডেট সময় : ০২:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। এবার তা ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এতে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৯ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ রয়েছে ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থাটির ঋণের কিস্তি ছাড় পেতে নিট রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকতে হবে।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যা প্রথম। করোনা মহামারিকালে রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচও বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়।

বাড়তি চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বাড়ে। গত রোববার রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগে তা ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। বর্তমানে যার সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। এসব দেশ থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর বিল ২ মাস পর পর আকু মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।