ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১১ বছর চলার মতো গ্যাস মজুত রয়েছে : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে তা দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

নুরুন্নবী চৌধুরী জানতে চান, দেশে বর্তমানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ কত এবং চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে কি না।

উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে (জুন, ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮.৫৯ টিসিএফ। শুরু হতে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসাবে বর্তমানে (১ জুলাই, ২০২২ হিসাবে) উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ।

তিনি বলেন, দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ সময় দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

অপরদিকে, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বলেও তিনি জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। তার মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিড ২৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াটের মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে ৯ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট (১৬ এপ্রিল ২০২২)। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর জুন মাস নাগাদ পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ২০১৬ পঞ্জিকাবর্ষ থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১০১.৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপ-লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর জুন মাস নাগাদ এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

১১ বছর চলার মতো গ্যাস মজুত রয়েছে : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে তা দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

নুরুন্নবী চৌধুরী জানতে চান, দেশে বর্তমানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ কত এবং চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে কি না।

উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে (জুন, ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮.৫৯ টিসিএফ। শুরু হতে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসাবে বর্তমানে (১ জুলাই, ২০২২ হিসাবে) উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ।

তিনি বলেন, দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ সময় দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

অপরদিকে, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বলেও তিনি জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। তার মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিড ২৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াটের মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে ৯ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট (১৬ এপ্রিল ২০২২)। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর জুন মাস নাগাদ পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ২০১৬ পঞ্জিকাবর্ষ থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১০১.৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপ-লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর জুন মাস নাগাদ এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।