ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বস্তি ফিরছে বাজারে, কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকারও বেশি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর আমদানির পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা। সুখবর নেই আদার দামে। বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। নাগালে রয়েছে ডিম ও সবজির দাম। বর্তমানে সবজি প্রতি কেজির সর্বনিম্ন দামের বলতে চলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে কিছু কিছু সবজি মৌসুম না হওয়ায় সেগুলো এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের পর বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামও কমেছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আমদানির পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে সাড়ে ৬ শতাংশ পযন্ত।

শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজারে আসেন রাজু মোল্লা নামর এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কেজিদরে ১০০ টাকার উপরে কিনেছি। আজকে বাজারে পেঁয়াজ বিগত দিনের চাইতে অনেকটা কম দামেই পাচ্ছি।

এদিকে স্বস্তি মিলছে না আদা, রসুনের দামে। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। আমদানির রসুন ১৮০ আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা কম সরবরাহের কথা বললেও এমন কথাকে অযুহাত হিসেবে দেখছেন ভোক্তারা।

শুক্রবার (৯ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার, মালিবাগ বাজার ও মেরাদিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের দামের এমন তথ্যই মিলেছে।

খিলগাঁও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুবকর বলেন, আজ পাইকারি বাজারের দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে। প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আগে পাইকারি বাজারে ৯০-১০০ টাকা দরে কিনতে হত, যা বিক্রি করা হত ১১০ টাকায়।

মেরাদিয়া হাটে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ বিক্রি করেন মো হোসেন মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এই একই দামে রসুন বিক্রি হয়েছে। আদা অনেকদিন ধরেই ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি করেছি ৫৫ টাকায়। পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি ৫২ টাকায়। আর আজ ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।

জানতে চাইলে মিরপুরে বাজার করতে আসা শিপলু নামের এক ক্রেতা বলেন, বিক্রেতারা হঠাৎ করেই আদা-রসুনের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদের যখন যা ইচ্ছা সেই দাম রাখে। নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই এসব জিনিস কিনে ফিরতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। ৬০ টাকা বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গোল সবুজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা কলা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

দাম কমার মধ্যে বর্তমানে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০- ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁপে এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কাঁকরোল এ সপ্তাহে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর মুখি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

৬০ টাকা কেজির ঝিঙা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৬০ টাকার ধুন্দল এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনি রঙের গোল বেগুন এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

আগের সপ্তাহের মতো বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

আকারভেদে জালিকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন জালিকুমড়ার স্বাভাবিক দাম হওয়ার কথা ছিল প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা। টমেটো ৬০, ভেন্ডি ৪০-৫০ ও পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডার মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৩৫০ টাকা, চিংড়ি আকার অনুযায়ী ৬০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা ও তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোট বোয়াল ৬০০, বাইম মাছ ৭০০ টাকা ও রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বস্তি ফিরছে বাজারে, কমেছে পেঁয়াজের দাম

আপডেট সময় : ০২:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকারও বেশি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর আমদানির পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা। সুখবর নেই আদার দামে। বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। নাগালে রয়েছে ডিম ও সবজির দাম। বর্তমানে সবজি প্রতি কেজির সর্বনিম্ন দামের বলতে চলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে কিছু কিছু সবজি মৌসুম না হওয়ায় সেগুলো এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের পর বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামও কমেছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আমদানির পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে সাড়ে ৬ শতাংশ পযন্ত।

শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজারে আসেন রাজু মোল্লা নামর এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কেজিদরে ১০০ টাকার উপরে কিনেছি। আজকে বাজারে পেঁয়াজ বিগত দিনের চাইতে অনেকটা কম দামেই পাচ্ছি।

এদিকে স্বস্তি মিলছে না আদা, রসুনের দামে। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। আমদানির রসুন ১৮০ আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা কম সরবরাহের কথা বললেও এমন কথাকে অযুহাত হিসেবে দেখছেন ভোক্তারা।

শুক্রবার (৯ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার, মালিবাগ বাজার ও মেরাদিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের দামের এমন তথ্যই মিলেছে।

খিলগাঁও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুবকর বলেন, আজ পাইকারি বাজারের দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে। প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আগে পাইকারি বাজারে ৯০-১০০ টাকা দরে কিনতে হত, যা বিক্রি করা হত ১১০ টাকায়।

মেরাদিয়া হাটে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ বিক্রি করেন মো হোসেন মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এই একই দামে রসুন বিক্রি হয়েছে। আদা অনেকদিন ধরেই ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি করেছি ৫৫ টাকায়। পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি ৫২ টাকায়। আর আজ ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।

জানতে চাইলে মিরপুরে বাজার করতে আসা শিপলু নামের এক ক্রেতা বলেন, বিক্রেতারা হঠাৎ করেই আদা-রসুনের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদের যখন যা ইচ্ছা সেই দাম রাখে। নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই এসব জিনিস কিনে ফিরতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। ৬০ টাকা বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গোল সবুজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা কলা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

দাম কমার মধ্যে বর্তমানে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০- ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁপে এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কাঁকরোল এ সপ্তাহে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর মুখি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

৬০ টাকা কেজির ঝিঙা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৬০ টাকার ধুন্দল এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনি রঙের গোল বেগুন এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

আগের সপ্তাহের মতো বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

আকারভেদে জালিকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন জালিকুমড়ার স্বাভাবিক দাম হওয়ার কথা ছিল প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা। টমেটো ৬০, ভেন্ডি ৪০-৫০ ও পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডার মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৩৫০ টাকা, চিংড়ি আকার অনুযায়ী ৬০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা ও তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোট বোয়াল ৬০০, বাইম মাছ ৭০০ টাকা ও রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।