কটিয়াদীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
প্রচন্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তেস্কার নামাজ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কটিয়াদী আলেম উলামাদের উদ্যোগে জালালপুর ইউনিয়ন ফেকামারা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
কটিয়াদী আলেম উলামাদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিসহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। ফেকামারা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেমের ইমামতিতে নামাজে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যা মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। দিনের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়। তাই আল্লাহর অশেষ রহমে জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
ইস্তেস্কার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য। মাওলানা আবুল কাশেম বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়।
দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ।
ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।
বাখ//আর