ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাকিব ঝড়ে মাশরাফীদের সামনে লক্ষ্য ১৯৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই চলছে লো স্কোরের মহড়া। তবে সেই মিছিলে নাম লেখায়নি সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে বরিশালের দলটি। দুই ওপেনারের দারুণ শুরুর পর সাকিব নেন ব্যাটিংয়ের গুরুদায়িত্ব। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের যেন পাড়ার বোলার বানিয়ে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। যেই সামনে আসছেন ব্যাট হাতে কচুকাটা করছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। জয়ের জন্য ১৯৫ রান করতে হবে মাশরাফী বাহিনীকে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশালের দলটি।

ম্যাচের শুরুতেই ছিল চমক। বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম থাকলেও আজকের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করতে আসেন মিরাজ। সিলেট দলেও একই ঘটনা। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বোন মর্তুজা হলেও আজকে অধিনায়কত্ব করছেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের ওপর চড়াও হন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা বরিশাল প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৬৭ রানে। ২১ বলে ২৯ রান করে মাশরাফির বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন বিজয়।

এনামুল ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার সিলভা। ২৫ বলে ৩৬ রান করেন লঙ্কান এই ক্রিকেটার। ওয়ানডাউনে নামা ইফতিখার আহমেদ খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১০ বলে ১৩ রান করে মাশরাফীর শিকার হন তিনি।

চতুরাঙ্গার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার আগেই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও ১২ বলে ১৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। একপ্রান্তে সাকিব অবিচল থাকলেও বিদায় নেন হায়দার আলি। রেজাউর রহমানের বলে আউট হওয়া পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৬ বলে করেন মাত্র ৩ রান। সাকিব অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাত্র ২৬ বলে।

ফিফটির পরেও থামেনি তার ব্যাট। চলছিল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। অবশেষে সাকিবকে থামান এসে মাশরাফি। শেষ ওভারে সাকিবকে মোহাম্মদ আমিরের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ম্যাশ। ৩২ বলে ৪ ছোঁয় ও ৭ চারে ৬৭ রান করেন সাকিব। শেষদিকে করিম জানাতের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।

সিলেটের হয়ে তিন উইকেট নেন মাশরাফী। একটি করে উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম, রেজাউর ও থিসারা পেরেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাকিব ঝড়ে মাশরাফীদের সামনে লক্ষ্য ১৯৫

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই চলছে লো স্কোরের মহড়া। তবে সেই মিছিলে নাম লেখায়নি সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে বরিশালের দলটি। দুই ওপেনারের দারুণ শুরুর পর সাকিব নেন ব্যাটিংয়ের গুরুদায়িত্ব। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের যেন পাড়ার বোলার বানিয়ে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। যেই সামনে আসছেন ব্যাট হাতে কচুকাটা করছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। জয়ের জন্য ১৯৫ রান করতে হবে মাশরাফী বাহিনীকে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশালের দলটি।

ম্যাচের শুরুতেই ছিল চমক। বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম থাকলেও আজকের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করতে আসেন মিরাজ। সিলেট দলেও একই ঘটনা। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বোন মর্তুজা হলেও আজকে অধিনায়কত্ব করছেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের ওপর চড়াও হন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা বরিশাল প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৬৭ রানে। ২১ বলে ২৯ রান করে মাশরাফির বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন বিজয়।

এনামুল ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার সিলভা। ২৫ বলে ৩৬ রান করেন লঙ্কান এই ক্রিকেটার। ওয়ানডাউনে নামা ইফতিখার আহমেদ খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১০ বলে ১৩ রান করে মাশরাফীর শিকার হন তিনি।

চতুরাঙ্গার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার আগেই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও ১২ বলে ১৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। একপ্রান্তে সাকিব অবিচল থাকলেও বিদায় নেন হায়দার আলি। রেজাউর রহমানের বলে আউট হওয়া পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৬ বলে করেন মাত্র ৩ রান। সাকিব অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাত্র ২৬ বলে।

ফিফটির পরেও থামেনি তার ব্যাট। চলছিল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। অবশেষে সাকিবকে থামান এসে মাশরাফি। শেষ ওভারে সাকিবকে মোহাম্মদ আমিরের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ম্যাশ। ৩২ বলে ৪ ছোঁয় ও ৭ চারে ৬৭ রান করেন সাকিব। শেষদিকে করিম জানাতের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।

সিলেটের হয়ে তিন উইকেট নেন মাশরাফী। একটি করে উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম, রেজাউর ও থিসারা পেরেরা।