ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে প্রচলিত পরীক্ষা নয়: মাউশি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান চলায় তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর- মাউশি।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের কাছে সোমবার (১৩ মার্চ) পাঠানো এক নির্দেশনায় এ বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে। তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে।

– তাদের শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবির প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা (টিচার্স গাউড) এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

– শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না।

– শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।

– নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা/থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।

– নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো বিষয় নিয়ে কারও ‘অস্বস্তি’ থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

চলতি বছর এ শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিবর্তীত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে।

মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় বদলে দিতে প্রস্তুত করা নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ নতুন পাঠক্রমে পড়বে শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে প্রচলিত পরীক্ষা নয়: মাউশি

আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান চলায় তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর- মাউশি।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের কাছে সোমবার (১৩ মার্চ) পাঠানো এক নির্দেশনায় এ বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে। তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে।

– তাদের শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবির প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা (টিচার্স গাউড) এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

– শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না।

– শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।

– নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা/থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।

– নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো বিষয় নিয়ে কারও ‘অস্বস্তি’ থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

চলতি বছর এ শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিবর্তীত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে।

মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় বদলে দিতে প্রস্তুত করা নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ নতুন পাঠক্রমে পড়বে শিক্ষার্থীরা।