ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজশাহীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী সরকারী টি.টি  কলেজে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো -ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (NAAND) এর আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহঃ প্রধান, অভিভাবকদের নিয়ে এক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষনের সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে  ১২ টার সময়  কলেজের ৩০৪ নং হলরুমে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শওকত আলী খানের  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদিন,  NAAND এর সহকারি প্রকল্প পরিচালক মোঃ হযরত আলী।

কোর্স সমন্বায়ক মোসাঃ জাকিয়া ম্যাডামের সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন, কলেজ উপাধ্যক্ষ ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, টিটি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিবন্ধী ছেলের অভিভাবক  মোঃ শরিফুল ইসলাম, কদমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাবিনা ইয়াসমিন, রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান প্রমূখ।

প্রশিক্ষন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হয়। এ প্রশিক্ষনে গোদাগাড়ী তানোর উপজেলার ৩০ জন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ১০ জন অভিভাবক অংশ গ্রহন করেন।

বক্তাগণ বলেন, কোন গোষ্ঠী, পিছিয়ে পড়া, বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। যারা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কটু কথা বলে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বক্তাগণ  বলেন, আমাদের দেশ এগিয়েছে কিন্তু কিছু মানুষ এখনও মানসিকভাবে এগুতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বর্তমানে অনেক মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ভালো অবস্থানে আছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার অটিজম শিশু রয়েছে তাদের কথা চিন্তা করেই, তাদেরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এসব কার্যক্রম শুরু করেছেন। একটি কুসংস্কার আছে, অটিজম শিশুর জন্মের জন্য মায়েরা দায়ী, ছোট অবস্থায় বিভিন্ন টিকা দেয়ার জন্য হয়ে থাকে। এগুলি সঠিক নয়।

প্রধান অতিথি আমিনা আবেদিন বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের  ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো -ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযৌগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে  সকল শিশুর অংশ গ্রহন প্রয়োজন। এ সব শিশুদের ভালবাসুন, যত্ন করুন, প্রশিক্ষন নিয়ে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন হাউস ট্রেনিং করে  সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন। শিক্ষকগণ একজন শিক্ষার্থীর জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

রাজশাহী সরকারী টি.টি  কলেজে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো -ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (NAAND) এর আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহঃ প্রধান, অভিভাবকদের নিয়ে এক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষনের সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে  ১২ টার সময়  কলেজের ৩০৪ নং হলরুমে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শওকত আলী খানের  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদিন,  NAAND এর সহকারি প্রকল্প পরিচালক মোঃ হযরত আলী।

কোর্স সমন্বায়ক মোসাঃ জাকিয়া ম্যাডামের সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন, কলেজ উপাধ্যক্ষ ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, টিটি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিবন্ধী ছেলের অভিভাবক  মোঃ শরিফুল ইসলাম, কদমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাবিনা ইয়াসমিন, রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান প্রমূখ।

প্রশিক্ষন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হয়। এ প্রশিক্ষনে গোদাগাড়ী তানোর উপজেলার ৩০ জন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ১০ জন অভিভাবক অংশ গ্রহন করেন।

বক্তাগণ বলেন, কোন গোষ্ঠী, পিছিয়ে পড়া, বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। যারা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কটু কথা বলে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বক্তাগণ  বলেন, আমাদের দেশ এগিয়েছে কিন্তু কিছু মানুষ এখনও মানসিকভাবে এগুতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বর্তমানে অনেক মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধীরা ভালো অবস্থানে আছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার অটিজম শিশু রয়েছে তাদের কথা চিন্তা করেই, তাদেরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এসব কার্যক্রম শুরু করেছেন। একটি কুসংস্কার আছে, অটিজম শিশুর জন্মের জন্য মায়েরা দায়ী, ছোট অবস্থায় বিভিন্ন টিকা দেয়ার জন্য হয়ে থাকে। এগুলি সঠিক নয়।

প্রধান অতিথি আমিনা আবেদিন বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের  ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো -ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযৌগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে  সকল শিশুর অংশ গ্রহন প্রয়োজন। এ সব শিশুদের ভালবাসুন, যত্ন করুন, প্রশিক্ষন নিয়ে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন হাউস ট্রেনিং করে  সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন। শিক্ষকগণ একজন শিক্ষার্থীর জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারেন।