ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিছিলের সময় মাইক্রোবাসের নিচে ফেলে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে মশাল মিছিল করার সময় মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হয়েছেন ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মো. অমিত হাসান অনিক (২২)। তবে তার সঙ্গীদের অভিযোগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অনিককে মারধর করে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসের নিচে ফেলে ‘হত্যা’ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভুলতা গাউছিয়া মুন্সি পাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. অমিত হাসান অনিক (২২) নারায়ণঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন।

নিহত অনিকের সহকর্মী মো. মামুন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যুবদলের আহ্বায়ক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। ওই সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে অনিককে ধরে নিয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কে চলন্ত মাইক্রোবাসের নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়। এতে অনিক গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, অনিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. আমির হোসেনের সন্তান। তিন বোন-এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-অঞ্চল) আবির হোসেন বলেন, আমাদের কাছে রূপগঞ্জের কোথাও কোনো মিছিল কিংবা মিছিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য নেই। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলে শুনেছি। এই বিষয়ে পুলিশকে কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। আর তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো হাইওয়ে পুলিশ দেখে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মিছিলের সময় মাইক্রোবাসের নিচে ফেলে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে মশাল মিছিল করার সময় মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হয়েছেন ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মো. অমিত হাসান অনিক (২২)। তবে তার সঙ্গীদের অভিযোগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অনিককে মারধর করে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসের নিচে ফেলে ‘হত্যা’ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভুলতা গাউছিয়া মুন্সি পাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. অমিত হাসান অনিক (২২) নারায়ণঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন।

নিহত অনিকের সহকর্মী মো. মামুন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যুবদলের আহ্বায়ক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। ওই সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে অনিককে ধরে নিয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কে চলন্ত মাইক্রোবাসের নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়। এতে অনিক গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, অনিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. আমির হোসেনের সন্তান। তিন বোন-এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-অঞ্চল) আবির হোসেন বলেন, আমাদের কাছে রূপগঞ্জের কোথাও কোনো মিছিল কিংবা মিছিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য নেই। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলে শুনেছি। এই বিষয়ে পুলিশকে কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। আর তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো হাইওয়ে পুলিশ দেখে।