ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়: কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারতীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড আর একজনও নেই। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। বর্তমান নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব আছে। এ বন্ধুত্বের বিকাশও হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। যখন যারা ক্ষমতা আছে তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। যদি তারা বন্ধুত্ব রাখেন। নরেন্দ্র মোদির রেখেছেন, সেজন্য আছে। এই সম্পর্ক বিকশিত। আমাদের মধ্যে অনেক মিল আছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একাত্তরের রাখিবন্ধন অটুট আছে। রক্তের রাখিবন্ধন আমরা ভুলি না, কখনো ভুলতে পারি না।

তিনি বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও একটা কথা মনে রাখবেন, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু আরেকজন আপনাদের নেই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই স্মৃতিভরা। আমাদের সেই টেস্টের (মুক্তিযুদ্ধ) সময়ে ভারত ছিল বিশ্বস্ত, আশ্রয়দাতা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য কতটা কঠিন হবে, ভারতের সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। থার্ড টার্ম অতিক্রম করে চতুর্থ টার্মের জন্য আমরা নির্বাচনে যাবো। গতবারের চেয়ে আরেকটু টাফ হবে। একটা ব্যাপার হলো কস্ট অব লিভিং সামাল দিতে ব্যর্থ হলে ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বিধা নেই। সবকিছু মিলিয়ে ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু আমাদের পাশে আছে। আমরা বন্ধু হিসেবে পাশে দেখতে চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণ ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন, এর কৃতিত্ব আমাদের নেত্রীকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেমন পানি। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের পাওনাটা পাবো। যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে, আলোচনা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভোট আমাদের জনগণ। আপনারা পাশে থাকলে আমরা শক্তি পাই। কারণ, আমাদের এখানে শত্রু বেশি, ষড়যন্ত্র বেশি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে ঢাকা সফররত ১১ জন ভারতীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ জন সাংবাদিক বাংলাদেশ সফরে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়: কাদের

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারতীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড আর একজনও নেই। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। বর্তমান নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব আছে। এ বন্ধুত্বের বিকাশও হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। যখন যারা ক্ষমতা আছে তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। যদি তারা বন্ধুত্ব রাখেন। নরেন্দ্র মোদির রেখেছেন, সেজন্য আছে। এই সম্পর্ক বিকশিত। আমাদের মধ্যে অনেক মিল আছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একাত্তরের রাখিবন্ধন অটুট আছে। রক্তের রাখিবন্ধন আমরা ভুলি না, কখনো ভুলতে পারি না।

তিনি বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও একটা কথা মনে রাখবেন, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু আরেকজন আপনাদের নেই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই স্মৃতিভরা। আমাদের সেই টেস্টের (মুক্তিযুদ্ধ) সময়ে ভারত ছিল বিশ্বস্ত, আশ্রয়দাতা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য কতটা কঠিন হবে, ভারতের সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। থার্ড টার্ম অতিক্রম করে চতুর্থ টার্মের জন্য আমরা নির্বাচনে যাবো। গতবারের চেয়ে আরেকটু টাফ হবে। একটা ব্যাপার হলো কস্ট অব লিভিং সামাল দিতে ব্যর্থ হলে ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বিধা নেই। সবকিছু মিলিয়ে ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু আমাদের পাশে আছে। আমরা বন্ধু হিসেবে পাশে দেখতে চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণ ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন, এর কৃতিত্ব আমাদের নেত্রীকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেমন পানি। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের পাওনাটা পাবো। যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে, আলোচনা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভোট আমাদের জনগণ। আপনারা পাশে থাকলে আমরা শক্তি পাই। কারণ, আমাদের এখানে শত্রু বেশি, ষড়যন্ত্র বেশি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে ঢাকা সফররত ১১ জন ভারতীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ জন সাংবাদিক বাংলাদেশ সফরে আসেন।