ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক: হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগহ করেন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) তিন ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৬ রানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করল টাইগাররা।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম উইকেট।

অবশ্য ৫ রানে সল্টকে হারানোর পর মালান-বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। বিশেষ করে ডেভিড মালান এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন এই ওপেনার।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মালান সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৪৩ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

মালান ফেরার পরের বলেই রান আউটে কাটা পড়েন বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। একই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বিপরীতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইংল্যান্ড।

এরপর মঈন আলীকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ৯ রান করা এই অলরাউন্ডারকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর ফলে ২ উইকেটে ১০০ থেকে ১২৩ এ পৌঁছাতে আরও তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেগের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলে ইংল্যান্ড।

এর আগে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন আর শান্তর ব্যাটে ভর করে ১৫৮ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা।

স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংস :
লিটন দাস ক সল্ট ব জর্ডান ৭৩
রনি তালুকদার ক এন্ড ব রশিদ ২৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৪৭
সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৪
অতিরিক্ত (লে বা-৩, নো-১, ও-৬) ১০
মোট (২ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৮
উইকেট পতন : ১/৫৫ (রনি), ২/১৩৯ (লিটন)।
ইংল্যান্ড বোলিং :
কারান : ৪-০-২৮-০ (ও-২, নো-১),
ওকস : ১-০-১২-০,
রশিদ : ৪-০-২৩-১ (ও-৩),
আর্চার : ৪-০-৩৩-০ (ও-১),
রেহান : ৩-০-২৬-০.
মঈন : ১-০-১২-০,
জর্ডান : ৩-০-২১-১।
ইংল্যান্ড ব্যাটিং ইনিংস :
ডেভিড মালান ক লিটন ব মুস্তাফিজ ৫৩
ফিল সল্ট স্টাম্প লিটন ব তানভীর ০
জশ বাটলার রান আউট (মিরাজ) ৪০
বেন ডাকেট বোল্ড ব তাসকিন ১১
মঈন ক মিরাজ ব তাসকিন ৯
কারান ক তানভীর ব সাকিব ৪
ওকস অপরাজিত ১৩
জর্ডান অপরাজিত ২
অতিরিক্ত (বা-২, লে বা-৬, ও-২) ১০
মোট (৬ উইকেট, ২০ ওভার) ১৪২
উইকেট পতন : ১/৫ (সল্ট), ২/১০০ (মালান), ৩/১০০ (বাটলার), ৪/১১৯ (মঈন), ৫/১২৩ (ডাকেট), ৬/১২৮ (কারান)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তানভীর : ২-০-১৭-১,
তাসকিন : ৪-০-২৬-২ (ও-২),
সাকিব : ৪-০-৩০-১ (ও-১),
হাসান : ৪-০-২৯-০,
মুস্তাফিজুর : ৪-০-১৪-১ (ও-১),
মিরাজ : ২-০-১৮-০।
ফল : বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: লিটন দান(বাংলাদেশ)।
সিরিজ সেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত(বাংলাদেশ)।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক: হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগহ করেন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) তিন ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৬ রানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করল টাইগাররা।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম উইকেট।

অবশ্য ৫ রানে সল্টকে হারানোর পর মালান-বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। বিশেষ করে ডেভিড মালান এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন এই ওপেনার।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মালান সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৪৩ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

মালান ফেরার পরের বলেই রান আউটে কাটা পড়েন বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। একই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বিপরীতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইংল্যান্ড।

এরপর মঈন আলীকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ৯ রান করা এই অলরাউন্ডারকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর ফলে ২ উইকেটে ১০০ থেকে ১২৩ এ পৌঁছাতে আরও তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেগের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলে ইংল্যান্ড।

এর আগে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন আর শান্তর ব্যাটে ভর করে ১৫৮ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা।

স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংস :
লিটন দাস ক সল্ট ব জর্ডান ৭৩
রনি তালুকদার ক এন্ড ব রশিদ ২৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৪৭
সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৪
অতিরিক্ত (লে বা-৩, নো-১, ও-৬) ১০
মোট (২ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৮
উইকেট পতন : ১/৫৫ (রনি), ২/১৩৯ (লিটন)।
ইংল্যান্ড বোলিং :
কারান : ৪-০-২৮-০ (ও-২, নো-১),
ওকস : ১-০-১২-০,
রশিদ : ৪-০-২৩-১ (ও-৩),
আর্চার : ৪-০-৩৩-০ (ও-১),
রেহান : ৩-০-২৬-০.
মঈন : ১-০-১২-০,
জর্ডান : ৩-০-২১-১।
ইংল্যান্ড ব্যাটিং ইনিংস :
ডেভিড মালান ক লিটন ব মুস্তাফিজ ৫৩
ফিল সল্ট স্টাম্প লিটন ব তানভীর ০
জশ বাটলার রান আউট (মিরাজ) ৪০
বেন ডাকেট বোল্ড ব তাসকিন ১১
মঈন ক মিরাজ ব তাসকিন ৯
কারান ক তানভীর ব সাকিব ৪
ওকস অপরাজিত ১৩
জর্ডান অপরাজিত ২
অতিরিক্ত (বা-২, লে বা-৬, ও-২) ১০
মোট (৬ উইকেট, ২০ ওভার) ১৪২
উইকেট পতন : ১/৫ (সল্ট), ২/১০০ (মালান), ৩/১০০ (বাটলার), ৪/১১৯ (মঈন), ৫/১২৩ (ডাকেট), ৬/১২৮ (কারান)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তানভীর : ২-০-১৭-১,
তাসকিন : ৪-০-২৬-২ (ও-২),
সাকিব : ৪-০-৩০-১ (ও-১),
হাসান : ৪-০-২৯-০,
মুস্তাফিজুর : ৪-০-১৪-১ (ও-১),
মিরাজ : ২-০-১৮-০।
ফল : বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: লিটন দান(বাংলাদেশ)।
সিরিজ সেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত(বাংলাদেশ)।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ।