ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদ্যুৎ গ্রিডে রুশ হামলা গণহত্যার শামিল : ইউক্রেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল বলেন, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা গণহত্যার শামিল। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা পরিকল্পিত এবং আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার চেষ্টার অংশ। রাশিয়া ইউক্রেনের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গণহত্যার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এক দল মানুষকে নির্মূল করার চেষ্টা। জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, গণহত্যার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়, জাতিগত, ধর্মীয় বা বর্ণের গোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংসের অভিপ্রায় থাকে। এক্ষেত্রে এসব গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার মতো কর্মকাণ্ড অথবা শিশুদের জোর করে অন্যত্র স্থানান্তরের মতো কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত।

রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার পর ইউক্রেনের কোটি মানুষ হিম শীতল আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন। খেরসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের পর শহরে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ১৪টি অঞ্চল ও রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত রয়েছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রি কোস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলার পাশাপাশি ১১ হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে জোর করে রাশিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কোস্টিন বলেন, তার কার্যালয় ৪৯ হাজার যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসনের অপরাধের তদন্ত করছে। রাশিয়ার দখলকৃত সবগুলো অঞ্চলে একই ধরনের আচরণ দেখা গেছে।

রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতাকারী পুরো সভ্য বিশ্বের দেশগুলোর সমর্থনে একটি আন্তর্জাতিক এড-হক ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদ্যুৎ গ্রিডে রুশ হামলা গণহত্যার শামিল : ইউক্রেন

আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল বলেন, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা গণহত্যার শামিল। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা পরিকল্পিত এবং আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার চেষ্টার অংশ। রাশিয়া ইউক্রেনের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গণহত্যার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এক দল মানুষকে নির্মূল করার চেষ্টা। জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, গণহত্যার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়, জাতিগত, ধর্মীয় বা বর্ণের গোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংসের অভিপ্রায় থাকে। এক্ষেত্রে এসব গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার মতো কর্মকাণ্ড অথবা শিশুদের জোর করে অন্যত্র স্থানান্তরের মতো কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত।

রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার পর ইউক্রেনের কোটি মানুষ হিম শীতল আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন। খেরসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের পর শহরে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ১৪টি অঞ্চল ও রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত রয়েছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রি কোস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলার পাশাপাশি ১১ হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে জোর করে রাশিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কোস্টিন বলেন, তার কার্যালয় ৪৯ হাজার যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসনের অপরাধের তদন্ত করছে। রাশিয়ার দখলকৃত সবগুলো অঞ্চলে একই ধরনের আচরণ দেখা গেছে।

রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতাকারী পুরো সভ্য বিশ্বের দেশগুলোর সমর্থনে একটি আন্তর্জাতিক এড-হক ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।