ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত : টুকু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হলেও কতিপয় দুর্নীতিবাজ লাভবান হচ্ছে বলে দাবি করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার নিজেই প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনগণকে মাশুল দিতে হচ্ছে। তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে নিঃস্ব হচ্ছে, গরিব হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা উল্লেখ করে টুকু বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, এতে করে মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এনার্জি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে, বর্তমানে দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।

এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি করতে, গরীবকে আরও গরীব বানাতে গণবিরোধী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) সংস্কার পরামর্শের কারণে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন এই নেতা।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে প্রিপেইড মিটারে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ১১০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হতো। আর এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। প্রিপেইড মিটার ও কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি নেতা বলেন, সরকার দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ না করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই একনায়কতন্ত্র সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি ও লুট করা দাবি করে টুকু বলেন, তার মাশুল আজকে সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত : টুকু

আপডেট সময় : ০৩:৩২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হলেও কতিপয় দুর্নীতিবাজ লাভবান হচ্ছে বলে দাবি করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর কুঠারাঘাত। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার নিজেই প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনগণকে মাশুল দিতে হচ্ছে। তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিন্তু মানুষ আস্তে আস্তে নিঃস্ব হচ্ছে, গরিব হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা উল্লেখ করে টুকু বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, এতে করে মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এনার্জি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে, বর্তমানে দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।

এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি করতে, গরীবকে আরও গরীব বানাতে গণবিরোধী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) সংস্কার পরামর্শের কারণে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন এই নেতা।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে প্রিপেইড মিটারে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ১১০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হতো। আর এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। প্রিপেইড মিটার ও কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি নেতা বলেন, সরকার দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ না করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই একনায়কতন্ত্র সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি ও লুট করা দাবি করে টুকু বলেন, তার মাশুল আজকে সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে।