ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছার চাঁদখালীতে সড়কের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাঁদখালীর দেবদুয়ার মালোপাড়া এলাকায় স্হানীয় ইন্দ্রজিৎ ও ভবতোষের নেতৃত্বে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ৬টি বড় বড় সিরিষ গাছ (চটকা গাছ) কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে গাছ গুলো চেরাই করে তক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে স্হানীয়  ফুলতলা বাজার সংলগ্ন একটি স’মিলে রাখা হয়েছে।  খবর পেয়ে শুক্রবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যেয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ দিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা বন কর্মকর্তা কে পাঠিয়ে কাটা গাছ গুলো জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর সরকারি গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি ও দেয়া হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চাঁদখালীর দেবদুয়ার মালোপাড়া সংলগ্ন সড়কে ওই গাছ গুলো ছিল। রাস্তা ভাঙন রোধে ওই গাছগুলো ভূমিকা রাখছিল।তবে গত ২০ মার্চ’২৪ উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়ের স্বাক্ষরিত অনুমতি পত্রের আলোকে গত কয়েক দিন ধরে স্হানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ও ভবতোষের নেতৃত্বে গাছ গুলো কাটা হয়। আর শুক্রবার সকালে ঐ গাছ গুলো নসিমন যোগে স্হানীয়  ফুলতলা বাজার সংলগ্ন একটি স’মিলে চেরাই করে তক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে রাখা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ গতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নানান আলোচনা সমালোচনা। এ খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে কাটা গাছের অংশ গুলো স্হানীয় ফুলতলা স’মিল থেকে জব্দ করেন উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ বলেন,গাছ গুলো আমাদের লাগানো। উপজেলা বন কর্মকর্তার প্রেমানন্দ রায়ের অনুমতিতে আমরা ৬টি বড় বড় সিরিষ (চটকা) গাছ কেটে নিয়েছি। তবে আরেক অভিযুক্ত ভবতোষ সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন,গাছ গুলো ওদের লাগানো তাই ওদের কে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি।
কিন্তু শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্হানীয় ফুলতলা স’মিল থেকে কাটা গাছের অংশ গুলো জব্দ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন,সরকারি গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্হলে পাঠিয়ে স্হানীয় স’মিল থেকে কাটা গাছের অংশ গুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে যারা সরকারি গাছ কেটেছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছার চাঁদখালীতে সড়কের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাঁদখালীর দেবদুয়ার মালোপাড়া এলাকায় স্হানীয় ইন্দ্রজিৎ ও ভবতোষের নেতৃত্বে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ৬টি বড় বড় সিরিষ গাছ (চটকা গাছ) কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে গাছ গুলো চেরাই করে তক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে স্হানীয়  ফুলতলা বাজার সংলগ্ন একটি স’মিলে রাখা হয়েছে।  খবর পেয়ে শুক্রবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যেয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ দিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা বন কর্মকর্তা কে পাঠিয়ে কাটা গাছ গুলো জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর সরকারি গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি ও দেয়া হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চাঁদখালীর দেবদুয়ার মালোপাড়া সংলগ্ন সড়কে ওই গাছ গুলো ছিল। রাস্তা ভাঙন রোধে ওই গাছগুলো ভূমিকা রাখছিল।তবে গত ২০ মার্চ’২৪ উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়ের স্বাক্ষরিত অনুমতি পত্রের আলোকে গত কয়েক দিন ধরে স্হানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ও ভবতোষের নেতৃত্বে গাছ গুলো কাটা হয়। আর শুক্রবার সকালে ঐ গাছ গুলো নসিমন যোগে স্হানীয়  ফুলতলা বাজার সংলগ্ন একটি স’মিলে চেরাই করে তক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে রাখা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ গতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নানান আলোচনা সমালোচনা। এ খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে কাটা গাছের অংশ গুলো স্হানীয় ফুলতলা স’মিল থেকে জব্দ করেন উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ বলেন,গাছ গুলো আমাদের লাগানো। উপজেলা বন কর্মকর্তার প্রেমানন্দ রায়ের অনুমতিতে আমরা ৬টি বড় বড় সিরিষ (চটকা) গাছ কেটে নিয়েছি। তবে আরেক অভিযুক্ত ভবতোষ সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন,গাছ গুলো ওদের লাগানো তাই ওদের কে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি।
কিন্তু শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্হানীয় ফুলতলা স’মিল থেকে কাটা গাছের অংশ গুলো জব্দ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন,সরকারি গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্হলে পাঠিয়ে স্হানীয় স’মিল থেকে কাটা গাছের অংশ গুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে যারা সরকারি গাছ কেটেছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাখ//আর