ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত ও অতি ডান-বাম সক্রিয় হয় : সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত এবং উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডান ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংসদের বৈঠকে সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম, অতি ডান; যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশে যে স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে এবং দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না।

ক্ষমতায় থাকতে মাদক বিএনপির একটি অস্ত্র ছিল অভিযোগ করে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, এদেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে এই বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তোলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের উপর রাগ আর ক্ষোভ। এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিএনপি সব সময়ই চেয়েছে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাক। আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক; বিশ্বের বুকে বাঙালির পরিচয় হোক উন্নত সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে, এদেশের সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। তাই সমাজের বিভিন্ন সমস্যাও আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে দেশের সকল ইউনিয়ন/উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সামাজিক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তখন সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ইউনিয়নে-ইউনিয়নে, উপজেলায়-উপজেলায়, জেলায় জেলায়; সব পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি জারি করা হয়।

তিনি বলেন, কামিটির কার্যক্রমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশাতীত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে গত দুর্গাপূজার উৎসব দেশব্যাপী অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়। কোথাও বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই কমিটির মাধ্যমে সমাজের সকল মানুষকে একত্রিত করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার মূলোৎপাটন করা হবে বলেও তিনি জানান।

হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বৈদেশিক অনুদানে কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হয়। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা দুই হাজার ৫৫৪টি। এর মধ্যে দেশীয় এনজিও’র সংখ্যা দুই হাজার ২৮৯টি ও বিদেশি এনজিও ২৬৫টি। বিগত ৫ বছরে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত হয়েছে ১৮২টি এনজিও। এর মধ্যে দেশি ১৬২টি ও বিদেশি ২০টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত ও অতি ডান-বাম সক্রিয় হয় : সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত এবং উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডান ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংসদের বৈঠকে সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম, অতি ডান; যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশে যে স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে এবং দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না।

ক্ষমতায় থাকতে মাদক বিএনপির একটি অস্ত্র ছিল অভিযোগ করে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, এদেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে এই বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তোলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের উপর রাগ আর ক্ষোভ। এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিএনপি সব সময়ই চেয়েছে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাক। আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক; বিশ্বের বুকে বাঙালির পরিচয় হোক উন্নত সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে, এদেশের সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। তাই সমাজের বিভিন্ন সমস্যাও আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে দেশের সকল ইউনিয়ন/উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সামাজিক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তখন সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ইউনিয়নে-ইউনিয়নে, উপজেলায়-উপজেলায়, জেলায় জেলায়; সব পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি জারি করা হয়।

তিনি বলেন, কামিটির কার্যক্রমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশাতীত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে গত দুর্গাপূজার উৎসব দেশব্যাপী অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়। কোথাও বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই কমিটির মাধ্যমে সমাজের সকল মানুষকে একত্রিত করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার মূলোৎপাটন করা হবে বলেও তিনি জানান।

হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বৈদেশিক অনুদানে কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হয়। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা দুই হাজার ৫৫৪টি। এর মধ্যে দেশীয় এনজিও’র সংখ্যা দুই হাজার ২৮৯টি ও বিদেশি এনজিও ২৬৫টি। বিগত ৫ বছরে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত হয়েছে ১৮২টি এনজিও। এর মধ্যে দেশি ১৬২টি ও বিদেশি ২০টি।