ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নওগাঁয় কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি এবং রসুন ৭০-৮০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সেখানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়িরা। দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজারে সূত্রে জানা যায়- রোববার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি। যা গতকাল ৬০ টাকা কেজি। তবে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৪৫ টাকা। এদিকে রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা গতকালই বিক্রি হয়েছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। তবে গ্রীষ্মকালি সবজি দাম কিছুটা চড়া।
জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় পাশের জেলা পাবনা এবং নাটোর থেকে কিনে নিয়ে আসেন এ জেলায় ব্যবসায়িরা। সেসব জেলার ওপর পেঁয়াজের বাজারদর নির্ভর করে। বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কম। দাম যখন ১০০ টাকা ছিল আর দাম বাড়ার আশঙ্কায় ক্রেতারা বেশি পরিমাণ কিনে রেখেছে। এ কারণে বাজারে ক্রেতা সংকট। তবে দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- এ বছরে পেঁয়াজের আবাদ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। গত বছর ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৫৭ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন। এ বছর রসুনের আবাদের পরিমাণ ৭৮০ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন। এছাড়া গত বছর ৮২০ হেক্টর জমি থেকে রসুনের উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ি মৃদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ বস্তা বিক্রি হয়। এই পাইকারি বাজার থেকে কিনে বিক্রি করা হয়। যার কারণে লোকসান কিছুটা কম হয়েছে। একদিনে প্রায় ২ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তবে যারা জেলার বাহির থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসেন তাদের বেশি লোকসান হয়েছে।
মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার এর স্বত্ত্বাধিকারী সুকুমার বলেন, যেসব বিক্রি হয় তার ২-৩ দিন আগে কিনে নিয়ে আসা। প্রতিদিন ৫০ বস্তা (১০০ মন) বিক্রি করা হয়। প্রতিকেজিতে ৫-৭ টাকা লোকসান করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। অপরদিকে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামীতে পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে। এছাড়া রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

নওগাঁয় কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি এবং রসুন ৭০-৮০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সেখানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়িরা। দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজারে সূত্রে জানা যায়- রোববার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি। যা গতকাল ৬০ টাকা কেজি। তবে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৪৫ টাকা। এদিকে রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা গতকালই বিক্রি হয়েছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। তবে গ্রীষ্মকালি সবজি দাম কিছুটা চড়া।
জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় পাশের জেলা পাবনা এবং নাটোর থেকে কিনে নিয়ে আসেন এ জেলায় ব্যবসায়িরা। সেসব জেলার ওপর পেঁয়াজের বাজারদর নির্ভর করে। বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কম। দাম যখন ১০০ টাকা ছিল আর দাম বাড়ার আশঙ্কায় ক্রেতারা বেশি পরিমাণ কিনে রেখেছে। এ কারণে বাজারে ক্রেতা সংকট। তবে দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- এ বছরে পেঁয়াজের আবাদ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। গত বছর ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৫৭ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন। এ বছর রসুনের আবাদের পরিমাণ ৭৮০ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন। এছাড়া গত বছর ৮২০ হেক্টর জমি থেকে রসুনের উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ি মৃদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ বস্তা বিক্রি হয়। এই পাইকারি বাজার থেকে কিনে বিক্রি করা হয়। যার কারণে লোকসান কিছুটা কম হয়েছে। একদিনে প্রায় ২ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তবে যারা জেলার বাহির থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসেন তাদের বেশি লোকসান হয়েছে।
মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার এর স্বত্ত্বাধিকারী সুকুমার বলেন, যেসব বিক্রি হয় তার ২-৩ দিন আগে কিনে নিয়ে আসা। প্রতিদিন ৫০ বস্তা (১০০ মন) বিক্রি করা হয়। প্রতিকেজিতে ৫-৭ টাকা লোকসান করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। অপরদিকে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামীতে পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে। এছাড়া রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি।
বাখ//আর