ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিন নদীর উজানে ৪১৪ বাঁধের চিন্তা চার দেশের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর উজানে ৪১৪টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান। সেখানে নির্মাণ হবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।

পানিসম্পদ প্রকৌশলী ও নদী গবেষকরা বলছেন, উজানে দেশগুলোর আগের নির্মাণ করা নানা বাঁধে নদীর পলিপ্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নতুন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনায় ভাটিতে থাকা দেশগুলোর পরিবেশ বিপর্যয় হতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তম নদী অববাহিকা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা। যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের এক লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এখানে নদী-উপনদী-শাখানদীগুলো দিয়ে প্রতি বছর উজান থেকে আসা পলি প্রবাহিত হয় ১০০ কোটি টনেরও বেশি। যা ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

ব্রিটিশ, মার্কিন ও বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের জিওমরফিক চেঞ্জ ইন দ্য গ্যাঞ্জেস-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ডেল্টা’ শীর্ষক এক যৌথ গবেষণা বলছে, উজানে বহমান এই নদ-নদীর ওপর উচ্চক্ষমতার জলবিদ্যুৎ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে চীন, ভারত নেপাল। দেশগুলো ৪১৪টি বাঁধ নির্মাণ করতে চায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২৮৫টি নির্মাণের কথা রয়েছে নেপালে।

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, ভারতে ১০৮, ভুটানে ১২, চীনে আটটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

পানিসম্পদ প্রকৌশলী আমীরুল হোসাইন বলেছেন, আগামীতে এ অঞ্চলে মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও পলিপ্রবাহ বাড়াবে। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট নানা তৎপরতায় নদীগুলোর পানি ও পলি প্রবাহ কমবে। যা বাংলাদেশের ভূ-ভাগে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও আন্তঃনদী পানি বণ্টন নিয়ে উজানের দেশগুলোর সাথে মতবিরোধ রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহারের সমস্যা আন্তর্জাতিক নদী আইনেই সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন পরিবেশ গবেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন নদীর উজানে ৪১৪ বাঁধের চিন্তা চার দেশের

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর উজানে ৪১৪টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান। সেখানে নির্মাণ হবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।

পানিসম্পদ প্রকৌশলী ও নদী গবেষকরা বলছেন, উজানে দেশগুলোর আগের নির্মাণ করা নানা বাঁধে নদীর পলিপ্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নতুন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনায় ভাটিতে থাকা দেশগুলোর পরিবেশ বিপর্যয় হতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তম নদী অববাহিকা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা। যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের এক লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এখানে নদী-উপনদী-শাখানদীগুলো দিয়ে প্রতি বছর উজান থেকে আসা পলি প্রবাহিত হয় ১০০ কোটি টনেরও বেশি। যা ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

ব্রিটিশ, মার্কিন ও বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের জিওমরফিক চেঞ্জ ইন দ্য গ্যাঞ্জেস-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ডেল্টা’ শীর্ষক এক যৌথ গবেষণা বলছে, উজানে বহমান এই নদ-নদীর ওপর উচ্চক্ষমতার জলবিদ্যুৎ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে চীন, ভারত নেপাল। দেশগুলো ৪১৪টি বাঁধ নির্মাণ করতে চায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২৮৫টি নির্মাণের কথা রয়েছে নেপালে।

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, ভারতে ১০৮, ভুটানে ১২, চীনে আটটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

পানিসম্পদ প্রকৌশলী আমীরুল হোসাইন বলেছেন, আগামীতে এ অঞ্চলে মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও পলিপ্রবাহ বাড়াবে। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট নানা তৎপরতায় নদীগুলোর পানি ও পলি প্রবাহ কমবে। যা বাংলাদেশের ভূ-ভাগে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও আন্তঃনদী পানি বণ্টন নিয়ে উজানের দেশগুলোর সাথে মতবিরোধ রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহারের সমস্যা আন্তর্জাতিক নদী আইনেই সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন পরিবেশ গবেষকরা।