ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চিতলমারীর মুরগি রিপনের থেকে রক্ষা পেতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

‘মুরগি রিপনের সাথে আমার মুরগি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ৫০ হাজার টাকা লেনদেন ছিল। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় রিপন আমাকে তাঁর ভগ্নিপতির গণমিলণ এনজিও থেকে দুই লাখ টাকা লোন তুলে দেওয়ার কথা বলে। এজন্য সে আমার কাছে একটি চেকের পাতা ও একটি ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন রিপন আমার বসত বাড়ি লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন শেখ শয্যাশায়ী। বসতবাড়ি লিখে দিলে তাঁকে ও পরিবারের লোকজন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। তাই প্রভাবশালী মুরগি রিপনের হাত থেকে বাঁচতে সকলের সহযোগিতা চাই।’ বুধবার (৩ মে) বেলা ১১ টায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেনের বড় ছেলে মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘লোন তুলে রিপন ৫০ হাজার টাকা নেবে এবং বাকী টাকা আমার ব্যবসায় লগ্নি করার পরামর্শ দেয়। এনজিওর কথা বলে সে আমার কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক চিতলমারী শাখার একটি চেকের পাতা ও ১০০ টাকার একটি ফাঁকা স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে আমি গণমিলনের স্টাফ শিখা রানীর কাছে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে বলেন। আমি তার কথা মত সকল কাগজপত্র জমা দিলেও তিনি লোন দিতে তালবাহানা করেন। তখন আমি আমার জমাকৃত কাগজপত্র ফেরত চাইলে তিনি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাপজপত্র ফেরত দেন। চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে তিনি জানান রিপন এ ধরনের কোন কিছু আমার কাছে দেয়নি। সংগে সংগে আমি রিপনের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। অদ্যাবধি চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্প ফেরত দেননি। পরে রিপন আমার নামে আমবাড়ী গ্রামের মৃত মহেন্দ্রনাথ রানার ছেলে মনিন্দ্রনাথ রানাকে স্বাক্ষী করে চেক ডিসঅনারের মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আমি জামিনে আছি। মামলা হয়েছে অথচ স্বাক্ষী মনিন্দ্রনাথ রানা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এখন রিপন টাকার জন্য আমার বসতভিটা লিখে দিতে বলছেন। আমি সামান্য ব্যবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করি। উক্ত বসতভিটা ছাড়া আমার আর কোন সম্পদ নাই। প্রভাবশালী মুরগি রিপনের জন্য বসতবাড়ী হারালে আমার বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা-মাতাকে নিয়ে পথে নামতে হবে। আমি বিষয়টি সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনাসহ আমি ও আমার পরিবার যাতে মুরগি রিপনের হাত হতে রক্ষা পেতে পারি এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মিজানুর রহমানের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছোট ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মুরগি ব্যবসায়ী রিপন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কোন বোন নেই। তাই ভগ্নিপতি থাকার প্রশ্ন ওঠে না। মিজানুর রহমানের কাছে মুরগির সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ৩ শতক জমি বাবদ ১৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

তবে এনজিও গণ মিলনের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার শিখা বলেন, ‘রিপন মন্ডল নামে কাউকে আমরা চিনি না। মিজানুর রহমান আমাদের কাছে ঋণের জন্য এসেছিলেন। আমরা তাঁকে ঋণ দেইনি।’

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

চিতলমারীর মুরগি রিপনের থেকে রক্ষা পেতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

‘মুরগি রিপনের সাথে আমার মুরগি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ৫০ হাজার টাকা লেনদেন ছিল। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় রিপন আমাকে তাঁর ভগ্নিপতির গণমিলণ এনজিও থেকে দুই লাখ টাকা লোন তুলে দেওয়ার কথা বলে। এজন্য সে আমার কাছে একটি চেকের পাতা ও একটি ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন রিপন আমার বসত বাড়ি লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন শেখ শয্যাশায়ী। বসতবাড়ি লিখে দিলে তাঁকে ও পরিবারের লোকজন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। তাই প্রভাবশালী মুরগি রিপনের হাত থেকে বাঁচতে সকলের সহযোগিতা চাই।’ বুধবার (৩ মে) বেলা ১১ টায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেনের বড় ছেলে মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘লোন তুলে রিপন ৫০ হাজার টাকা নেবে এবং বাকী টাকা আমার ব্যবসায় লগ্নি করার পরামর্শ দেয়। এনজিওর কথা বলে সে আমার কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক চিতলমারী শাখার একটি চেকের পাতা ও ১০০ টাকার একটি ফাঁকা স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে আমি গণমিলনের স্টাফ শিখা রানীর কাছে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে বলেন। আমি তার কথা মত সকল কাগজপত্র জমা দিলেও তিনি লোন দিতে তালবাহানা করেন। তখন আমি আমার জমাকৃত কাগজপত্র ফেরত চাইলে তিনি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাপজপত্র ফেরত দেন। চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে তিনি জানান রিপন এ ধরনের কোন কিছু আমার কাছে দেয়নি। সংগে সংগে আমি রিপনের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। অদ্যাবধি চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্প ফেরত দেননি। পরে রিপন আমার নামে আমবাড়ী গ্রামের মৃত মহেন্দ্রনাথ রানার ছেলে মনিন্দ্রনাথ রানাকে স্বাক্ষী করে চেক ডিসঅনারের মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আমি জামিনে আছি। মামলা হয়েছে অথচ স্বাক্ষী মনিন্দ্রনাথ রানা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এখন রিপন টাকার জন্য আমার বসতভিটা লিখে দিতে বলছেন। আমি সামান্য ব্যবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করি। উক্ত বসতভিটা ছাড়া আমার আর কোন সম্পদ নাই। প্রভাবশালী মুরগি রিপনের জন্য বসতবাড়ী হারালে আমার বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা-মাতাকে নিয়ে পথে নামতে হবে। আমি বিষয়টি সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনাসহ আমি ও আমার পরিবার যাতে মুরগি রিপনের হাত হতে রক্ষা পেতে পারি এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মিজানুর রহমানের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছোট ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মুরগি ব্যবসায়ী রিপন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কোন বোন নেই। তাই ভগ্নিপতি থাকার প্রশ্ন ওঠে না। মিজানুর রহমানের কাছে মুরগির সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ৩ শতক জমি বাবদ ১৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

তবে এনজিও গণ মিলনের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার শিখা বলেন, ‘রিপন মন্ডল নামে কাউকে আমরা চিনি না। মিজানুর রহমান আমাদের কাছে ঋণের জন্য এসেছিলেন। আমরা তাঁকে ঋণ দেইনি।’

 

বা/খ: জই