চিতলমারীতে ধান রোপন করা নিয়ে ১৩ নারীর উপর হামলা
- আপডেট সময় : ০৭:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে ধান লাগানো নিয়ে ১৩ নারীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুই নারীকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি, ২০২৩) দুপুরে কুড়ালতলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানিয়েছেন।
গুরুতর অবস্থায় চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত দুই নারী হলেন, কুড়ালতলা গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ মন্ডলের স্ত্রী বাসন্তী মন্ডল (৬৫) ও মনোরঞ্জন মন্ডলের স্ত্রী মঞ্জু রানী মন্ডল (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী কুড়ালতলা গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে শান্তিরঞ্জন মন্ডল জানান, ওই দুইজন ছাড়াও ইতি মন্ডল (৩৫), অঞ্জলী মন্ডল (৩৪), কবিতা মন্ডল (৪০), চঞ্চলা মন্ডল (৪৫), কামনা মন্ডল (৩৪), মিনি মন্ডল (৪৫), মাধু মন্ডল (২২), শোভা মন্ডল (৫০), সীমা মন্ডল (২২), রীতা মন্ডল (৩২) ও চম্পা মন্ডল (৩০) হামলার শিকার হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী অনিমেষ মন্ডল ও মনোরঞ্জন মন্ডলসহ অনেকে জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের পূর্বপুরুষের প্রায় এক একর ৬০শতক জমিতে জোর করে ধান লাগানোর চেষ্টা করা হয়। চরকুড়ালতলা গ্রামের মাসুদ গাজী, আনোয়ার গাজী ও সাখাওয়াৎ শিকদারের নেতৃত্বে অনেক লোক হাতুড়ি, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে এসে ধান লাগাচ্ছিল। পুরুষেরা ভয়ে তাঁদের সামনে না গিয়ে নারীরা যায় এবং ধান লাগানোয় বাধা দেয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ওরা নারীদের উপর হামলা ও নির্মমভাবে মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওরা পালিয়ে যায়।
হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ গাজী জানান, ওই জায়গা আমার দাদা মৃত আব্দুল মজিদের ক্রয়কৃত। অন্যান্য অংশীদারদের পক্ষ হতে আমি আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা দেন। তা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা আজ (২১ জানুয়ারি) ধান লাগাতে যায়। এ সময় আমরা তাদের বাধা দিয়েছি। এখন তাঁরা নারীদের উপর হামলার নাটক সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
চিতলমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন বিশ্বাস বলেন, ‘ওই জমিতে আদলতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারী আমি উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছি।’
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এএইচএম কামরুজ্জামান খান জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। আহতদের পক্ষ হতে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই জায়গায় মহামান্য আদালতের পক্ষ হতে ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘আহত নারীরা আমার কাছে এসেছিল। আমি আগে তাঁদের চিকিৎসা হতে বলেছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।
বা/খ: জই