ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাল-চিনি-তেলে এখনো অস্বস্তি, স্বস্তি সবজির ও মুরগির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, আটা, তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই চড়া দামে। শীতের সবজির ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারেও শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। কমেছে মুরগির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গত দুই সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল-গুটি-স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের বিআর-২৮ চালের প্রতি কেজি ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকায়। তবে বাজারে আরও বেশি দামের চাল রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।

কালাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কালাম বলেন, চালের বাজারে সরবরাহের সংকট নেই। অবশ্য আমন ধানের মোটা চালের দাম একটু কমছে। বিআর-২৮, মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম কমেনি।
বেড়েছে আটার দামও। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটার কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

চিনির বাজারে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। বেশিরভাগ দোকানে প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না। কিছু দোকানে খোলা চিনি পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। প্যাকেট চিনি কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

তবে ক্রেতারা বলছেন, খুচরা বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম। তবে অনেক নিত্যপণ্যের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বিশেষ করে আমনের নতুন ধান বাজারে এলেও চালের দাম না কমায় অস্বস্তির কথা বলছেন ভোক্তারা।

মজিদ নামের অন্য এক ক্রেতা বলেন, শীতকালই শাক-সবজির জন্য উপযুক্ত সময়। এরই মধ্যে শীতকালীন সব ধরনের সবজি বাজারে আসতেও শুরু করেছে। সে কারণে দামও কমেছে। কিন্তু এখন চালের দাম নিয়েই সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক। আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে আগুন। মোটা চালের দামও নাগালের বাইরে। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে!

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

মাছ-মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

একইভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। মাঝারি মানের রুই ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়। বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারে মুরগির ডিমের দাম কম থাকলেও বাড়তি হাঁসের ডিমের দাম। বাজারের লাল ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়।

মুরগির বিক্রেতা মো. মাসুম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে মুরগির। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম হলে দাম বাড়তে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাল-চিনি-তেলে এখনো অস্বস্তি, স্বস্তি সবজির ও মুরগির

আপডেট সময় : ১২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, আটা, তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই চড়া দামে। শীতের সবজির ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারেও শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। কমেছে মুরগির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গত দুই সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল-গুটি-স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের বিআর-২৮ চালের প্রতি কেজি ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকায়। তবে বাজারে আরও বেশি দামের চাল রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।

কালাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কালাম বলেন, চালের বাজারে সরবরাহের সংকট নেই। অবশ্য আমন ধানের মোটা চালের দাম একটু কমছে। বিআর-২৮, মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম কমেনি।
বেড়েছে আটার দামও। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটার কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

চিনির বাজারে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। বেশিরভাগ দোকানে প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না। কিছু দোকানে খোলা চিনি পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। প্যাকেট চিনি কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

তবে ক্রেতারা বলছেন, খুচরা বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম। তবে অনেক নিত্যপণ্যের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বিশেষ করে আমনের নতুন ধান বাজারে এলেও চালের দাম না কমায় অস্বস্তির কথা বলছেন ভোক্তারা।

মজিদ নামের অন্য এক ক্রেতা বলেন, শীতকালই শাক-সবজির জন্য উপযুক্ত সময়। এরই মধ্যে শীতকালীন সব ধরনের সবজি বাজারে আসতেও শুরু করেছে। সে কারণে দামও কমেছে। কিন্তু এখন চালের দাম নিয়েই সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক। আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে আগুন। মোটা চালের দামও নাগালের বাইরে। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে!

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

মাছ-মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

একইভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। মাঝারি মানের রুই ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়। বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারে মুরগির ডিমের দাম কম থাকলেও বাড়তি হাঁসের ডিমের দাম। বাজারের লাল ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়।

মুরগির বিক্রেতা মো. মাসুম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে মুরগির। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম হলে দাম বাড়তে থাকে।