ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব নেই কক্সবাজারে, সমুদ্র শান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার প্রতিনিধি : সাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যা শক্তিশালী হয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর এরই মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের এলাকাগুলোকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাব পড়েনি। সমুদ্র শান্ত আছে এখনও। পাড়ে আঁচড়ে পড়ছে না বড় বড় ঢেউ। এখনও পানির উচ্চতাও বাড়েনি। সকালে থেকেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।

সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজ করা লাইফ গার্ডরা জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বর্তমানে গোসলের জন্য নিরাপদ। জেলা প্রশাসন বা সি সেইফ থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে পরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেখানে ৫ লাখের বেশি মানুষ থাকতে পারবে একসঙ্গে।

এছাড়া সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলার রিজার্ভে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে কক্সবাজার জেলার জন্য ১০ লাখ নগদ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

জেলার ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব নেই কক্সবাজারে, সমুদ্র শান্ত

আপডেট সময় : ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি : সাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যা শক্তিশালী হয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর এরই মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের এলাকাগুলোকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাব পড়েনি। সমুদ্র শান্ত আছে এখনও। পাড়ে আঁচড়ে পড়ছে না বড় বড় ঢেউ। এখনও পানির উচ্চতাও বাড়েনি। সকালে থেকেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।

সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজ করা লাইফ গার্ডরা জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বর্তমানে গোসলের জন্য নিরাপদ। জেলা প্রশাসন বা সি সেইফ থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে পরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেখানে ৫ লাখের বেশি মানুষ থাকতে পারবে একসঙ্গে।

এছাড়া সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলার রিজার্ভে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে কক্সবাজার জেলার জন্য ১০ লাখ নগদ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

জেলার ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে।