ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুড়িগ্রামে কালো ডিম দিল পাতিহাঁস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন নারায়নপুর ইউনিয়নে ইব্রাহিম আলী ও রেহানা বেগম নামে এক দম্পতির পালন করা দেশি প্রজাতির একটি পাতি হাঁস পরপর দুদিন দুটি কালো ডিম দিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ডিম দেখতে প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শণার্থীরা।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় কোনো হাঁসের এ ধরণের ডিম দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম যা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকতে পারে।

ইব্রাহিম নারায়নপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব নারায়নপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্ত্রী রেহানা বেগমও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।

লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা বাড়িতে কৃষিকাজ ও হাঁস পালন করেন । ৬ মাস আগে রেহানার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচটি হাস উপহার পান এই দম্পতি। ৬ মাস প্রতিপালন করার পর শনিবার (২৯ অক্টোবর) একটি হাঁস ডিম দেয়।
পরদিন রোববার (৩০ অক্টোবর) আবারো আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে হাঁসের কালো ডিম দেখতে ইব্রাহিমের বাড়িতে ছুটে যায় উৎসুক মানুষ। তবে সোমবার (৩১ অক্টোবর) হাঁসটি কোনো ডিম দেয়নি বলে জানা গেছে।

ইব্রাহিম জানান, ৬ মাস আগে উপহার পাওয়া পাঁচটি দেশি প্রজাতির পাতি হাঁসের মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। বাকি চারটি স্ত্রী হাঁস। এদের দুটি কালো রং এর স্ত্রী হাঁস রয়েছে। কালো রঙের স্ত্রী হাঁস দুটির মধ্যে একটি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে।

ইব্রাহিম আরো জানান, তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী রেহেনা বেগম হাঁসগুলোর দেখাশোনা করেন। হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন পালন করা হয়।

তিনি বলেন, শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে হাঁসের ঘররে দরজা খুলে দিলে হাঁসগুলো বের হয়ে যায়। এসময় হাঁসের ঘরের ভেতর একটি কালো ডিম দেখি। প্রথমে ডিমটি দেখে ভরকে যাই। পরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডাকি এবং ডিমটি বের করে আনি। পরদিন সকালে হাঁসটি আরও একটি কালো ডিম পারে। এই খবরে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের মানুষ এক নজর কালো রঙের ডিম দেখতে আমার বাড়িতে আসছেন।

প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ বলেন, হাঁসটি দুইটা ডিম পাড়ছে। দুটাই কালো রঙের। আমরা এমন ডিম আগে দেখি নাই।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়নপুরে পাতি হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি শুনেছি। এটি একটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। কোনও কারণে হাঁসের জরায়ুতে কোন ইনফেকশন থাকার করণে কিংবা ডিম পরিপক্ক হতে যে পরিমাণ পিগমেন্ডের দরকার সে পরিমাণ পিগমেন্টের অনুপস্থিতির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডা. মো. ইউনুস আলী বলেন, খবরটি শুনেছি। এ ধরণের ঘটনা এ জেলায় এটাই প্রথম বলে জেনেছি। জেনেটিক কারণে ডিমের রঙ এমনটা হয়ে থাকতে পারে। পরে আবার স্বাভাবিক রঙের ডিমও আসতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ এটি পর্যবেক্ষণে রাখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামে কালো ডিম দিল পাতিহাঁস

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন নারায়নপুর ইউনিয়নে ইব্রাহিম আলী ও রেহানা বেগম নামে এক দম্পতির পালন করা দেশি প্রজাতির একটি পাতি হাঁস পরপর দুদিন দুটি কালো ডিম দিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ডিম দেখতে প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শণার্থীরা।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় কোনো হাঁসের এ ধরণের ডিম দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম যা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকতে পারে।

ইব্রাহিম নারায়নপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব নারায়নপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্ত্রী রেহানা বেগমও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।

লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা বাড়িতে কৃষিকাজ ও হাঁস পালন করেন । ৬ মাস আগে রেহানার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচটি হাস উপহার পান এই দম্পতি। ৬ মাস প্রতিপালন করার পর শনিবার (২৯ অক্টোবর) একটি হাঁস ডিম দেয়।
পরদিন রোববার (৩০ অক্টোবর) আবারো আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে হাঁসের কালো ডিম দেখতে ইব্রাহিমের বাড়িতে ছুটে যায় উৎসুক মানুষ। তবে সোমবার (৩১ অক্টোবর) হাঁসটি কোনো ডিম দেয়নি বলে জানা গেছে।

ইব্রাহিম জানান, ৬ মাস আগে উপহার পাওয়া পাঁচটি দেশি প্রজাতির পাতি হাঁসের মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। বাকি চারটি স্ত্রী হাঁস। এদের দুটি কালো রং এর স্ত্রী হাঁস রয়েছে। কালো রঙের স্ত্রী হাঁস দুটির মধ্যে একটি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে।

ইব্রাহিম আরো জানান, তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী রেহেনা বেগম হাঁসগুলোর দেখাশোনা করেন। হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন পালন করা হয়।

তিনি বলেন, শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে হাঁসের ঘররে দরজা খুলে দিলে হাঁসগুলো বের হয়ে যায়। এসময় হাঁসের ঘরের ভেতর একটি কালো ডিম দেখি। প্রথমে ডিমটি দেখে ভরকে যাই। পরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডাকি এবং ডিমটি বের করে আনি। পরদিন সকালে হাঁসটি আরও একটি কালো ডিম পারে। এই খবরে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের মানুষ এক নজর কালো রঙের ডিম দেখতে আমার বাড়িতে আসছেন।

প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ বলেন, হাঁসটি দুইটা ডিম পাড়ছে। দুটাই কালো রঙের। আমরা এমন ডিম আগে দেখি নাই।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়নপুরে পাতি হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি শুনেছি। এটি একটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। কোনও কারণে হাঁসের জরায়ুতে কোন ইনফেকশন থাকার করণে কিংবা ডিম পরিপক্ক হতে যে পরিমাণ পিগমেন্ডের দরকার সে পরিমাণ পিগমেন্টের অনুপস্থিতির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডা. মো. ইউনুস আলী বলেন, খবরটি শুনেছি। এ ধরণের ঘটনা এ জেলায় এটাই প্রথম বলে জেনেছি। জেনেটিক কারণে ডিমের রঙ এমনটা হয়ে থাকতে পারে। পরে আবার স্বাভাবিক রঙের ডিমও আসতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ এটি পর্যবেক্ষণে রাখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।