ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের আদালতে অনন্ত জলিলকে তলব!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিনোদন ডেস্ক : 
‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা নিয়ে জটিলতায় এবার বাংলাদেশি নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলকে তলব করেন তেহরানের একটি আদালত। এমনটাই বলছেন ‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্রের ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়ে জমজম বলেন, আদালতে জনাব অনন্ত জলিলকে তলবের সময় নির্ধারিত হয়েছে এবং উনি বা উনার আইনজীবীকে ২৫ ডিসেম্বর তেহরানে অবস্থিত ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর অফিসের নবম শাখায় উপস্থিত হতে হবে।

আদালতে তলবের একটি কাগজও প্রকাশ করেছেন তিনি। যাতে ফারসি ভাষায় তেহরানের বিচার বিভাগীয় তদন্ত আদালতের সিলমোহর রয়েছে। যেখানে অনন্ত জলিল, পিতা আব্দুল গোফুর, মুনসুন ফিল্মস, কাকরাইল ঢাকার ঠিকানা রয়েছে।

চিঠিতে অনন্ত জলিলের নামে স্বত্বাধিকার চুরির অভিযোগ লেখা রয়েছে। অভিযোগকারী মুর্তজা আতশ জমজম লেখা রয়েছে। এ ছাড়াও পার্সিয়ান ১৪০১ সালের ১০ মাসের ৪ তারিখে অনন্ত জলিলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মুর্তজা আতশ জমজমের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ভাষান্তর করে দেখা হলেও সেটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

মুর্তজা আতশ জমজম বলেন, আইন অনুযায়ী, ইরানে যেসব বিদেশির নাগরিকত্ব নেই তাদের জন্য তাদের দেশের একটি স্বনামধন্য সংবাদপত্রে আদালতের কার্যক্রমের খবর প্রকাশ হয় এবং এটি একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করা হয়। অবশ্যই, জনাব জলিল অফিশিয়াল আদালতের সময়ের এক মাস পরে আমার অভিযোগের জবাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে উনার বক্তব্য এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে অনন্ত জলিল বলেন, সে যদি মামলা করে থাকে তাহলে করতে পারে। আমি ভিনদেশি, আমাকে তো আর নিয়ে যেতে পারবে না। আর সে মামলা করেছে তো কী হয়েছে, আমিও মামলা করেছি। আমি ভদ্র বলেই মামলা করা নিয়ে উচ্চবাচ্য করিনি। জমজম তেহরানে মামলা করেছে, আমি ঢাকায় মামলা করব। আমি সত্যের পথে আছি।

এর আগে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম। ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমাটি করতে গিয়েই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। পরবর্তীতে সে সম্পর্ক আর মধুর থাকেনি। গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের আদালতে অনন্ত জলিলকে তলব!

আপডেট সময় : ১১:২৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : 
‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা নিয়ে জটিলতায় এবার বাংলাদেশি নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলকে তলব করেন তেহরানের একটি আদালত। এমনটাই বলছেন ‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্রের ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়ে জমজম বলেন, আদালতে জনাব অনন্ত জলিলকে তলবের সময় নির্ধারিত হয়েছে এবং উনি বা উনার আইনজীবীকে ২৫ ডিসেম্বর তেহরানে অবস্থিত ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর অফিসের নবম শাখায় উপস্থিত হতে হবে।

আদালতে তলবের একটি কাগজও প্রকাশ করেছেন তিনি। যাতে ফারসি ভাষায় তেহরানের বিচার বিভাগীয় তদন্ত আদালতের সিলমোহর রয়েছে। যেখানে অনন্ত জলিল, পিতা আব্দুল গোফুর, মুনসুন ফিল্মস, কাকরাইল ঢাকার ঠিকানা রয়েছে।

চিঠিতে অনন্ত জলিলের নামে স্বত্বাধিকার চুরির অভিযোগ লেখা রয়েছে। অভিযোগকারী মুর্তজা আতশ জমজম লেখা রয়েছে। এ ছাড়াও পার্সিয়ান ১৪০১ সালের ১০ মাসের ৪ তারিখে অনন্ত জলিলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মুর্তজা আতশ জমজমের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ভাষান্তর করে দেখা হলেও সেটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

মুর্তজা আতশ জমজম বলেন, আইন অনুযায়ী, ইরানে যেসব বিদেশির নাগরিকত্ব নেই তাদের জন্য তাদের দেশের একটি স্বনামধন্য সংবাদপত্রে আদালতের কার্যক্রমের খবর প্রকাশ হয় এবং এটি একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করা হয়। অবশ্যই, জনাব জলিল অফিশিয়াল আদালতের সময়ের এক মাস পরে আমার অভিযোগের জবাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে উনার বক্তব্য এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে অনন্ত জলিল বলেন, সে যদি মামলা করে থাকে তাহলে করতে পারে। আমি ভিনদেশি, আমাকে তো আর নিয়ে যেতে পারবে না। আর সে মামলা করেছে তো কী হয়েছে, আমিও মামলা করেছি। আমি ভদ্র বলেই মামলা করা নিয়ে উচ্চবাচ্য করিনি। জমজম তেহরানে মামলা করেছে, আমি ঢাকায় মামলা করব। আমি সত্যের পথে আছি।

এর আগে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম। ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমাটি করতে গিয়েই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। পরবর্তীতে সে সম্পর্ক আর মধুর থাকেনি। গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।