ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৯২ বছরের ইতিহাস পাল্টে প্রথম জয় ইকুয়েডরের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে পর্দা উঠলো ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের। সাদামাটা উদযাপনের মতোই কাতার তাদের উদ্বোধনী ম্যাচটাও শুরু করলো সাদামাটাভাবে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথবার উদ্বোধনী ম্যাচে হারল স্বাগতিক কোনো দেশ।

ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ জয়ে রাঙাল ইকুয়েডর। স্বাগতিক কাতারকে তারা হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্মৃতিটুকু অবশ্য রাঙাতে পারলো না কাতার। প্রথমার্ধে খেই হারানোর পর খেয়েছিল দুই গোল, সেটা আর শোধ দেওয়া যায়নি শেষ অবধি।

এই হারে একটি নিয়মও মেনে চলতে ব্যর্থ হলো কাতার। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর গত চার আসরে উদ্বোধনী ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা, একরকম নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি। এবার কাতার অবশ্য হারের তিক্ত স্বাদ পেলো প্রথম ম্যাচেই।

আল-বায়ত স্টেডিয়ামে রোববার (২০ নভেম্বর) আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের হয়ে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া। অন্যদিকে একাধিক সুযোগ পেয়েও দলকে গোল উপহার দিতে পারেননি কাতারের ফরোয়ার্ডরা।

এদিন অবশ্য দুই দলকে সমর্থন জানানোর লক্ষ্যে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যদিও এদিন স্বাগতিক দর্শকরা হতাশায় শুরু করেন। কাতার শুরু থেকে বিচ্ছিন্ন ফুটবল খেলতে থাকে।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকে ইকুয়েডর। সেই ফায়দা নিয়ে ম্যাচের ৩ মিনিটের উল্লাসে ফেটে পড়ে ইকুয়েডর শিবির। গোল করে ফেলেন তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার ইনার ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে গোলটি অফসাইড ছিল। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ১ম গোলের দেখা পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ইকুয়েডরকে। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন সেই ভ্যালেন্সিয়া।

ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করে বসেন কাতারি গোলরক্ষক সাদ আল সায়েব। আর তাতেই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে এবারের বিশ্বকাপের ১ম গোলটি করে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো উদ্বোধনী ম্যাচের গোল আসলো পেনাল্টি থেকে।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে টরেস এবং ভ্যালেন্সিয়ার যৌথ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন খোকি। এর ঠিক ২ মিনিট পরেই আবারো গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। এবার রাইট উইং থেকে এঞ্জেলিনো প্রেসিয়াডোর ক্রসে হেড থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন কাতারি স্ট্রাইকার আলমোয়েজ আলি। ডি বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হেড দিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে কাতারি দল। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের ফাউল করে প্রথমার্ধেই ৩টি হলুদ কার্ড দেখে তারা। এই ব্যবধানে বিরতিতে যায় উভয় দল।

বিরতির অবশ্য গোল শোধের বেশ চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। যদিও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গেলের দেখা পায়নি কেউই। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।

ম্যাচে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ কাতার সৃষ্টি করে ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। তবে দলটির স্ট্রাইকার আল মোয়েজ সহজ সুযোগ মিস করেন। হেড করলে নিশ্চিত গোল, এমন জায়গা থেকে বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।

প্রথমার্ধ খারাপ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই লড়াই করে কাতারের ফুটবলাররা। বিশেষ করে দলটির ডিফেন্ডাররা। যার ফলে ইকুয়েডর বেশি সুবিধা করতে পারেনি। আক্রমণ সংগঠিত করলেও গোল করতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে কাতারও কিছু আক্রমণ করে। তবে জালের দেখা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরাও।

দুই দলই এদিন প্রচুর ফাউল করে। কাতারের ১৫ ফাউলের বিপরীতে ইকুয়েডরও করে ১৫টি। এরমধ্যে কাতারের ৪ এবং ইকুয়েডরের ২ ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

৯২ বছরের ইতিহাস পাল্টে প্রথম জয় ইকুয়েডরের

আপডেট সময় : ১২:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে পর্দা উঠলো ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের। সাদামাটা উদযাপনের মতোই কাতার তাদের উদ্বোধনী ম্যাচটাও শুরু করলো সাদামাটাভাবে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথবার উদ্বোধনী ম্যাচে হারল স্বাগতিক কোনো দেশ।

ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ জয়ে রাঙাল ইকুয়েডর। স্বাগতিক কাতারকে তারা হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্মৃতিটুকু অবশ্য রাঙাতে পারলো না কাতার। প্রথমার্ধে খেই হারানোর পর খেয়েছিল দুই গোল, সেটা আর শোধ দেওয়া যায়নি শেষ অবধি।

এই হারে একটি নিয়মও মেনে চলতে ব্যর্থ হলো কাতার। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর গত চার আসরে উদ্বোধনী ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা, একরকম নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি। এবার কাতার অবশ্য হারের তিক্ত স্বাদ পেলো প্রথম ম্যাচেই।

আল-বায়ত স্টেডিয়ামে রোববার (২০ নভেম্বর) আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের হয়ে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া। অন্যদিকে একাধিক সুযোগ পেয়েও দলকে গোল উপহার দিতে পারেননি কাতারের ফরোয়ার্ডরা।

এদিন অবশ্য দুই দলকে সমর্থন জানানোর লক্ষ্যে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যদিও এদিন স্বাগতিক দর্শকরা হতাশায় শুরু করেন। কাতার শুরু থেকে বিচ্ছিন্ন ফুটবল খেলতে থাকে।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকে ইকুয়েডর। সেই ফায়দা নিয়ে ম্যাচের ৩ মিনিটের উল্লাসে ফেটে পড়ে ইকুয়েডর শিবির। গোল করে ফেলেন তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার ইনার ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে গোলটি অফসাইড ছিল। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ১ম গোলের দেখা পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ইকুয়েডরকে। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন সেই ভ্যালেন্সিয়া।

ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করে বসেন কাতারি গোলরক্ষক সাদ আল সায়েব। আর তাতেই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে এবারের বিশ্বকাপের ১ম গোলটি করে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো উদ্বোধনী ম্যাচের গোল আসলো পেনাল্টি থেকে।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে টরেস এবং ভ্যালেন্সিয়ার যৌথ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন খোকি। এর ঠিক ২ মিনিট পরেই আবারো গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। এবার রাইট উইং থেকে এঞ্জেলিনো প্রেসিয়াডোর ক্রসে হেড থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন কাতারি স্ট্রাইকার আলমোয়েজ আলি। ডি বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হেড দিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে কাতারি দল। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের ফাউল করে প্রথমার্ধেই ৩টি হলুদ কার্ড দেখে তারা। এই ব্যবধানে বিরতিতে যায় উভয় দল।

বিরতির অবশ্য গোল শোধের বেশ চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। যদিও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গেলের দেখা পায়নি কেউই। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।

ম্যাচে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ কাতার সৃষ্টি করে ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। তবে দলটির স্ট্রাইকার আল মোয়েজ সহজ সুযোগ মিস করেন। হেড করলে নিশ্চিত গোল, এমন জায়গা থেকে বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।

প্রথমার্ধ খারাপ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই লড়াই করে কাতারের ফুটবলাররা। বিশেষ করে দলটির ডিফেন্ডাররা। যার ফলে ইকুয়েডর বেশি সুবিধা করতে পারেনি। আক্রমণ সংগঠিত করলেও গোল করতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে কাতারও কিছু আক্রমণ করে। তবে জালের দেখা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরাও।

দুই দলই এদিন প্রচুর ফাউল করে। কাতারের ১৫ ফাউলের বিপরীতে ইকুয়েডরও করে ১৫টি। এরমধ্যে কাতারের ৪ এবং ইকুয়েডরের ২ ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখে।